ভিক্ষুক পেলেন পাকাঘর, বললেন স্বপ্নের মতো লাগছে
মাহবুব আলম :: আব্দুস শহিদ একজন পঙ্গু ভিক্ষুক, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরের বারান্দায় কাটিয়েছেন জীবনের বেশির ভাগ সময়। গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান কর্মসূচির আওতায় তিনি পেয়েছেন আধপাকা দুই কক্ষের ঘর। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার এমন ১৪টি গৃহহীন পরিবার পেয়েছে ১৪টি ঘর। প্রতিটি পরিবার পেয়েছে দুটি করে শোয়ারঘর, একটি রান্নাঘর, একটি শৌচাগার ও ঘরের সামনে একটি বারান্দা। ‘গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান নির্মাণ’ কর্মসূচির আওতায় পরিবারগুলোকে ঘর তৈরি করে দেয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। আব্দুস শহিদ ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ভাতগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। উনার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। টিআর/ কাবিটা প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এর সরাসরি তত্বাবধানে নতুন পাকা ঘর পেয়ে তার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক। এক টুকরো করে জায়গা থাকলেও ছিল না বসবাসের উপযোগী বাসস্থান। ঘর পেয়ে আব্দুস শহিদের পরিবার আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের মতো লাগছে। অনেক কষ্টের জীবনে একটি পাকা বাড়ি পেয়ে আমরা পরিবারের প্রত্যেক সদস্য খুশি।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ খাতে এ উপজেলায় বরাদ্দ হয় ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৪ টাকা। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। বাড়িগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে ৭টি সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ভাতগাওঁ ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আওলাদ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান তৈরির এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। ঘর পেয়ে পরিবারগুলো খুব আনন্দিত। প্রতিটি পরিবার এখন নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারবে।