ভিজিএফ’র দুর্নীতি বন্ধে ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রস্তাবনা
ভিজিএফ’র চাল ও নগদ অর্থ বিতরণের দুর্নীতি রোধে বাস্তবমুখী কয়েকটি প্রস্তবনা প্রনয়ন করেছেন ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল। প্রনয়নকৃত প্রস্তাবনাসহ স¤প্রতি মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব বরাবরে পৃথক চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। প্রস্তাবনাগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হলে সুনামগঞ্জ জেলার হাওরাঞ্চলের বোরো ফসলহারা তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগী পরিবারগুলো দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে রেহাই পাবে বলে তিনি মনে করেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, হাওরের বোরো ফসলহারা সুনামগঞ্জের ১লাখ ৬৮ হাজার পরিবারকে তালিকাভুক্ত করে সরকারি সুবিধাভোগীর আওতায় আনা হয়েছে। তালিকাভুক্ত ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি মাসে ৩০কেজি করে চাল ও নগদ ৫শ’ টাকা বিতরণ করতে সরকারি আদেশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু চাল ও নগদ টাকা বিতরণে প্রায়ই দুর্নীতি ও অনিয়মের খবর পাওয়া যাচ্ছে সচেতন মহল ও গণমাধ্যমের বরাতে। এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়টি পত্র-পত্রিকায়ও প্রকাশিত হচ্ছে। বিতরণের সময় ওজনে কম দেয়া, গোদাম থেকে চাল কম সরবরাহ করা, চাল দিয়ে টাকা না দেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে উপকারভোগীরা ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহৎ উদ্যোগ কিছুটা হলেও বিঘ্ন হচ্ছে কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের কারণে। এছাড়া অনেক উপকারভোগী প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সময়মতো আসতে পারে না বা আসা-যাওয়ার খরচ হিসেব করে অনেকে সহায়তা নিতে আসছে না। সরকারের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম বিবেচনায় অলিউর রহমানের প্রস্তাবনা হলো, উপকারভোগীদের নামে নুন্যতম চালের মুল্য ও নগদ অর্থ ব্যাংক একাউন্ট খুলে নিজ-নিজ একাউন্টে অর্থ প্রেরন করা হলে এ ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ অনেকটাই সম্ভব। ইতিপূর্বে কৃষকরা ১০ টাকায় একাউন্ট খোলার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি অভাবনীয় সাড়া ফেলেছে বলে তিনি প্রস্তাবনায় দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেছেন। তাই সহায়তা বান্ধব সরকারের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এ কাজটি পরিকল্পনায় আনা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। প্রয়োজনে ব্যক্তিগত শুনানীতে তাকে ডাকলে অত্যন্ত দুঃখজনক বাস্তবতা তিনি তুলে ধরবেন বলে উল্লেখ করেছেন। প্রস্তাবনার অনুলিপি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করেছেন তিনি। জেলা প্রশাসকের মাসিক সভায় এ বিষয়টি আলোচনাও হয়েছে।