ভোটারদের যেসব প্রতিশ্রুতি দিলেন আরিফ-কামরান
bartaadmin
জুলাই ২৮, ২০১৮
ভোটারদের যেসব প্রতিশ্রুতি দিলেন আরিফ-কামরান২০১৮-০৭-২৮T১৪:২৩:২৮+০০:০০
শিরোনাম, সর্বশেষ, সর্বাধিক পঠিত, সিলেট, স্লাইডার নিউজ
তুহিনুল হক তুহিন- আর মাত্র দু’দিন পর সোমবার (৩০ জুলাই) অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী, আজ শনিবার (২৮ জুলাই) রাত ১২টা থেকেই শেষ হচ্ছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। নগরীর উন্নয়নসহ নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান দুটি দলের দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এবং বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী আছেন মূল আলোচনায়। ভোটের হিসাব নিকাশ অনুযায়ী এ পদে মূল লড়াইও হবে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে। ভোটারদের মন জয় করতে উভয়ই দিয়েছেন বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি।পাশাপাশি নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ছুড়ছেন অভিযোগের তীরও। ২০ দলীয় জোটের মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনি প্রচারণার সময় বলেছেন ‘দীর্ঘ ১৮ বছর সিলেট সিটির অভিভাবকের দায়িত্বে ছিলেন আমার বড় ভাই বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। কিন্তু তিনি সিলেট নগরীর জন্য কাজ করেননি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার মাধ্যমে কমিশন বাণিজ্য করেছেন। গড়ে তুলেছেন বিশাল সম্পদের ভাণ্ডার। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সিলেটের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে এসেছি। জনগণ তা জানে।’ বিএনপির প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমাকে ৩৩ মাস জেলে বন্দি রাখা হয় সিলেটের মানুষকে উন্নয়ন বঞ্চিত করার জন্য। কিন্তু সকল অপচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। সিলেটের জন্য আমি কী করেছি তা দৃশ্যমান। আমার ভাই কামরান তার নির্বাচনি ইশতেহারে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন সেগুলোর অধিকাংশই আমার মেয়াদকালীন সময় বাস্তবায়ন করেছি। আর যা তিনি করবেন সেগুলো আমার চলমান কাজের মধ্যে রয়েছে।’
বিএনপির প্রার্থী আরিফের ইশতেহারে স্থান পাওয়া বিষয়গুলো হলো: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রযুক্তি নির্ভর সিলেট গড়া, সিলেট শহরকে ওয়াইফাই জোনের আওতায় নিয়ে আসা, যানজট নিরসন ও হকার পুনর্বাসনের জন্য স্থায়ী মার্কেট তৈরি, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দূষণ কমানো, বস্তিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার (স্যানিটারি ল্যাট্রিন) ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ‘ড্রিম টিম-এ শিক্ষিত বেকারদের চাকরির সুযোগ, নারীদের জন্য পৃথক ইনস্টিটিউট ও টাউন বাসের ব্যবস্থা, লার্নিং রিসোর্স সেন্টার, পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ সুরমার দিকে বিশেষ নজর, আগামীতে সিলেট গড়তে প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এছাড়াও নির্বাচনি ইশতেহারে তার বাস্তবায়িত ৪৫টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৪৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। নির্বাচনের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরান বলেন-‘সিলেটের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছিল সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। আর আরিফুল হক সরকারের উন্নয়নের টাকা লুটপাট করে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনকে আরিফ দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করে রাখেন। এই সিলেটের জন্য যা করার প্রয়োজন ছিল আরিফ তা করেননি। এই নগরের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো এখনও বিদ্যমান। রাস্তা প্রশস্তকরণের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয় সরকারের কোটি কোটি টাকা। সিলেটে এই সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যা অতীতে কোনও সরকার করেনি। এই সিলেটকে বাংলাদেশে মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন। কারণ নৌকা উন্নয়নের প্রতীক।’ কামরানের ইশতেহারে স্থান পাওয়া বিষয়গুলো হলো: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, যানজট নিরসন, হকারমুক্ত ফুটপাত, জলাবদ্ধতা নিরসন, গ্যাস সংযোগ চালুর উদ্যোগ, বিশুদ্ধ পানি, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, পর্যটন, নদীর তীর সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, খেলার মাঠ, সংস্কৃতি, তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষা, দক্ষ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিশু নির্যাতন রোধ, নারীর সুরক্ষা, ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন, প্রবাসীদের বিনিয়োগে আগ্রহী করা, বৃক্ষরোপণ, নগরের পরিচ্ছন্নতা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডিজিটাল নগরী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা, নগরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান,সিটি করপোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত করা, মাদক নির্মূল, ভেজালমুক্ত খাদ্য, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও প্রতিবন্ধী অধিকার সংরক্ষণ। প্রচারণার পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মেয়র প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনি অফিসে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর পরস্পরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নেওয়া পদক্ষেপ। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচনি অফিসে একাধিক অভিযোগ দেয় বিএনপি। এছাড়াও আওয়ামী লীগও বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তবে এসব অভিযোগে প্রার্থীদের শোকজ করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেননি নির্বাচনি কর্মকর্তারা। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সম্পদ কমলেও, তার স্ত্রী আসমা কামরানের সম্পদ বেড়েছে। আর বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সম্পদ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে ব্যাংক দেনাও। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সকল ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগ নৌকার বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তারা একের পর এক সাজানো অভিযোগ দিয়েছে নির্বাচন অফিসে। সিলেটের মানুষ এবার আর অতীতের মতো ভুল করবেন না। এই সিলেটের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। এই সিটির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্য ভোটাররা এবার পরিবর্তন চাচ্ছেন। সেই হিসেবে ৩০ জুলাই সিলেট সিটিতে নৌকা বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে।’
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করবে বিএনপি প্রার্থীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসাদ উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘ভোটে কারচুপি করার কোনও প্রশ্নই আসে না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা চান নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’ সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন সরকার সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে ভোটের ফলাফল তাদের পক্ষে নেওয়ার নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যাই করুক এই সিলেটের মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করবেই। ভোটাররা সিলেটের উন্নয়নের জন্য ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে আবারও মেয়র পদে দেখতে চান।’ আলী আহমদ আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরান সিলেটে জরিপ চালিয়ে দেখেছেন তিনি জনবিচ্ছিন্ন। তাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চান। আরিফুল হক চৌধুরী ৩৩ মাস জেলে বন্দি ছিলেন সাজানো মামলায়। এমনকি তার মেয়র পদও স্থগিত করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় দুই বছর আরিফুল হক সিলেটের জন্য কী করছেন তা সবাই জানে। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করার জন্য ইতোমধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা আইনৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির প্রার্থী আরিফের ইশতেহারে স্থান পাওয়া বিষয়গুলো হলো: অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রযুক্তি নির্ভর সিলেট গড়া, সিলেট শহরকে ওয়াইফাই জোনের আওতায় নিয়ে আসা, যানজট নিরসন ও হকার পুনর্বাসনের জন্য স্থায়ী মার্কেট তৈরি, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দূষণ কমানো, বস্তিবাসীদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার (স্যানিটারি ল্যাট্রিন) ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতকে অগ্রাধিকার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ‘ড্রিম টিম-এ শিক্ষিত বেকারদের চাকরির সুযোগ, নারীদের জন্য পৃথক ইনস্টিটিউট ও টাউন বাসের ব্যবস্থা, লার্নিং রিসোর্স সেন্টার, পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ সুরমার দিকে বিশেষ নজর, আগামীতে সিলেট গড়তে প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এছাড়াও নির্বাচনি ইশতেহারে তার বাস্তবায়িত ৪৫টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৪৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। নির্বাচনের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরান বলেন-‘সিলেটের যেসব উন্নয়নকাজ হয়েছিল সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। আর আরিফুল হক সরকারের উন্নয়নের টাকা লুটপাট করে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনকে আরিফ দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করে রাখেন। এই সিলেটের জন্য যা করার প্রয়োজন ছিল আরিফ তা করেননি। এই নগরের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো এখনও বিদ্যমান। রাস্তা প্রশস্তকরণের নামে হাতিয়ে নেওয়া হয় সরকারের কোটি কোটি টাকা। সিলেটে এই সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, যা অতীতে কোনও সরকার করেনি। এই সিলেটকে বাংলাদেশে মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন। কারণ নৌকা উন্নয়নের প্রতীক।’ কামরানের ইশতেহারে স্থান পাওয়া বিষয়গুলো হলো: শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, যানজট নিরসন, হকারমুক্ত ফুটপাত, জলাবদ্ধতা নিরসন, গ্যাস সংযোগ চালুর উদ্যোগ, বিশুদ্ধ পানি, উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা, পর্যটন, নদীর তীর সংরক্ষণ ও সৌন্দর্যবর্ধন, খেলার মাঠ, সংস্কৃতি, তরুণ প্রজন্মের সুরক্ষা, দক্ষ জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিশু নির্যাতন রোধ, নারীর সুরক্ষা, ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ গঠন, প্রবাসীদের বিনিয়োগে আগ্রহী করা, বৃক্ষরোপণ, নগরের পরিচ্ছন্নতা, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়ন, ডিজিটাল নগরী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা, নগরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান,সিটি করপোরেশনের সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত করা, মাদক নির্মূল, ভেজালমুক্ত খাদ্য, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন ও প্রতিবন্ধী অধিকার সংরক্ষণ। প্রচারণার পাশাপাশি এবারের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মেয়র প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনি অফিসে আওয়ামী লীগ-বিএনপি প্রার্থীর পরস্পরের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনি কর্মকর্তাদের নেওয়া পদক্ষেপ। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচনি অফিসে একাধিক অভিযোগ দেয় বিএনপি। এছাড়াও আওয়ামী লীগও বিএনপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তবে এসব অভিযোগে প্রার্থীদের শোকজ করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেননি নির্বাচনি কর্মকর্তারা। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সম্পদ কমলেও, তার স্ত্রী আসমা কামরানের সম্পদ বেড়েছে। আর বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর সম্পদ বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে ব্যাংক দেনাও। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সকল ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগ নৌকার বিজয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তারা একের পর এক সাজানো অভিযোগ দিয়েছে নির্বাচন অফিসে। সিলেটের মানুষ এবার আর অতীতের মতো ভুল করবেন না। এই সিলেটের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক। এই সিটির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্য ভোটাররা এবার পরিবর্তন চাচ্ছেন। সেই হিসেবে ৩০ জুলাই সিলেট সিটিতে নৌকা বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে।’
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট কারচুপি করবে বিএনপি প্রার্থীর এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসাদ উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘ভোটে কারচুপি করার কোনও প্রশ্নই আসে না। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা চান নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সেজন্য আমাদের নেতাকর্মীরা নিরলসভাবে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’ সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন সরকার সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে ভোটের ফলাফল তাদের পক্ষে নেওয়ার নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যাই করুক এই সিলেটের মানুষ তাদেরকে প্রতিহত করবেই। ভোটাররা সিলেটের উন্নয়নের জন্য ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে আবারও মেয়র পদে দেখতে চান।’ আলী আহমদ আরও বলেন,‘আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন কামরান সিলেটে জরিপ চালিয়ে দেখেছেন তিনি জনবিচ্ছিন্ন। তাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে চান। আরিফুল হক চৌধুরী ৩৩ মাস জেলে বন্দি ছিলেন সাজানো মামলায়। এমনকি তার মেয়র পদও স্থগিত করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর প্রায় দুই বছর আরিফুল হক সিলেটের জন্য কী করছেন তা সবাই জানে। জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী। আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করার জন্য ইতোমধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা আইনৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
২৭৩ বার