ভোলায় পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে নিহত ৪, গুলিবিদ্ধ ৮
আল্লাহ ও রাসুলকে (স.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ভোলার বোরহানুদ্দিনে সাধারণ মুসুল্লিদের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গনি নামের এক কিশোরসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে সাধারণ জনতার সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত পুলিশকে হাসপাতালে নিলেও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ঘরে আটকা পড়েছেন। এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেগঞ্জেও। গুরুতর গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক আইডি থেকে তার বন্ধু তালিকার বেশ কয়েকজনের কাছে আল্লাহ এবং রাসুল (স.) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালির ম্যাসেজ আসে। বিপ্লব চন্দ্র শুভ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র মোহন বৈদ্দের ছেলে। তার আইডি থেকে এই ধরনের মেসেজ আসাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসুল্লিদের ব্যানারে রোববার সকাল ১০টায় বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। সকাল থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে মুসুল্লিরা শহর অভিমুখে আসতে থাকে। এতে ভোলার প্রলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ মোতায়েন করেন। পুলিশ সভা সংক্ষিপ্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পর পরেই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রথমে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়লে পুলিশের গুলিতে পথচারিসহ বিক্ষোভকারী আহত হন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোলা শহর পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রামগঞ্জে বিক্ষোভ চলমান। বোরহাসউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. শাহীন হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছে।