সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ যেভাবে কথা বলেন, মনে হয় যেন তিনিই প্রধান বিচারপতি।একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ছাত্রলীগের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, বিএনপি জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। সে কারণে তারা বিভিন্ন ইস্যু খুঁজছে। জনগণের সঙ্গে যে ইস্যুর সম্পর্ক নেই বিএনপি সেটা নিয়ে মাথা ঘামায়, যদি এর থেকে কোনো ফায়দা নেয়া যায়।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আর তাই এখন বিএনপির সবচেয়ে বড় ইস্যু হচ্ছে আদালতের ইস্যু। আদালতের ইস্যু নিয়ে তারা রঙিন স্বপ্ন দেখছে। তাদের এ রঙিন স্বপ্ন চুপসে যাবে।

তিনি আরো বলেন, এদেশ বাংলাদেশই থাকবে। কখনই আপনাদের স্বপ্নের পাকিস্তানে পরিণত হবে না। আপনাদের স্বপ্নের খোয়াব নিয়ে যতই লাফালাফি করুন না কেন বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেই থাকবে।ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট মাস বিএনপির জন্য গাত্রদাহের মাস। এই মাসে তারা নানা অপকর্ম করে। তারা ভুয়া জন্মদিনের কেক কাটে। তারা আমাদের অনুভূতিতে আঘাত করে, আবেগ নিয়ে উপহাস করে।তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপ করব? জিয়াউর রহমান ৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছে, বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছে। যারা অপরাধ করে আর যারা এর প্রশ্রয় দেয় উভয়েই কি সমান অপরাধী নয়?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই প্রশ্রয়কারীরাই শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার জন্য টার্গেট করেছিল। তখনকার বিএনপি-জামায়াত সরকার এই হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছিল। হামলার তদন্ত করতে দেয়নি। এর সকল প্রমাণ তারা মুছে দিয়েছিল। তাতে কী প্রমাণিত হয়?ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তোমাদেরকে মানসিক, সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশের মানুষকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn