ইনজুরির ধাক্কা সাথে নিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট খেলতে আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় মাঠে নামছে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনজুরির জন্য হ্যামিল্টন টেস্ট থেকে ছিটকে পড়লেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। শেষ টেস্ট খেলা নিয়ে শংকার মধ্যে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককও। ডানেডিনে সিরিজের প্রথম টেস্ট হয় ড্র। এরপর ওয়েলিংটন টেস্ট ৮ উইকেটে জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে সিরিজের শেষ টেস্টের আগে বেশ চাপেই রয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। সিরিজে সমতায় শেষ করার চাপের সাথে, একাদশ সাজানো নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছে ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। রস টেইলর ও ট্রেন্ট বোল্টের পর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েছেন দলের আরেক সেরা পেসার সাউদি। তাই পেস বোলিং বিভাগে নিউজিল্যান্ডের দুর্বলতা এখন চোখে পড়ার মত।

ইনজুরিতে আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ডি ককের খেলা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ঠ সন্দেহ। তার জায়গায় অনভিজ্ঞ হেনরিচ ক্লাসেনকে খেলানোর পরিকল্পনায় আছে প্রোটিয়ারা। পাশাপাশি বাড়তি স্পিনার নিয়েও একাদশ সাজাতে পারে তারা। কারন হ্যামিল্টনের সেডন পার্কের পীচ থেকে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই কেশব মহারাজের সাথে স্পিন বিভাগে দেখা যেতে পারে ডেন পিদৎকে।

তেমনই বলছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো, ‘সবাই বলছে এটি স্পিন সহায়ক পীচ হবে। তবে আমার এখনও তা মনে হচ্ছে না। তবে উইকেট বেশ ভালো। আমরা বাড়তি স্পিনার খেলানোর জন্য প্রস্তুত। সিরিজে আমরাই ভালো অবস্থায় আছি। ম্যাচে ভালো খেলার জন্যই আমরা মাঠে নামবো। তবে আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।’

প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সমানতালে লড়াই করলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থই ছিলো নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২৬৮ রানে গুটিয়ে যাবার পর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৭১ রান করে ম্যাচ হারের কিউইরা। দ্বিতীয় ব্যাট হাতে দুর্দান্ত লড়াই করেও দলের হার এড়াতে পারেননি ওপেনার জিত রাভাল। ১৭৪ বলে ৮০ রান করেন তিনি। তবে শেষ টেস্ট জিততে হলে সববিভাগে আরও ভালো পারফর্ম চান রাভাল, ‘যা হচ্ছে, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ভালো না। টেস্ট জিততে হলে আমাদের আরও বেশি উন্নতি করতে হবে। ব্যাটসম্যানদের দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থাকার মনমানসিকতা তৈরি করতে হবে এবং বড় স্কোর করতে হবে। পাশাপাশি বোলারদের ২০ উইকেট নিতে হবে। তিন বিভাগে একসাথে ভালো না করলে টেস্ট ম্যাচ জয় কঠিন।’

নিউজিল্যান্ড দল (সম্ভাব্য) : কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), বিজে ওয়াটলিং (উইকেটরক্ষক), নিল ব্রুম, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, ম্যাট হেনরি, টম লাথাম, জেমস নিশাম, হেনরি নিকোলস, জিতেন প্যাটেল, জিত রাভাল, মিচেল স্যান্টার, নিল ওয়াগনার। দক্ষিণ আফ্রিকা দল(সম্ভাব্য) : ফাফ ডু-প্লেসিস (অধিনায়ক), হাশিম আমলা, জেপি ডুমিনি, তেম্বা বাভুমা, স্টিফেন কুক, থিউনিস ডি ব্রুইন, কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), ডিন এলগার, হেনরিচ ক্লাসেন, ভারনন ফিলান্ডার, কেশাভ মহারাজ, মরনে মরকেল, ডোয়াইন ওলিভার, ওয়েন পার্নেল, ডেন পিদৎ ও কাগিসো রাবাদা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn