মাঠে ফেরার অপেক্ষায় জনি
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের লক্ষ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাজিকিস্তানে ক্যাম্প করেছিল বাংলাদেশ দল। আফগানিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলন করে যাচ্ছিলেন মাশুক মিয়া জনি। একাদশে তার জায়গাটা নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায় অনুশীলনে এক সতীর্থের সঙ্গে সংঘর্ষে ডান পায়ের এসিএল ছিঁড়ে গেলে। অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে বসুন্ধরা কিংসের এই মিডফিল্ডারের। এখন চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কোচ জেমি ডের ‘অটোমেটিক চয়েস’ জনি। করোনাভাইরাসের শুরুতে ক্লাবেই অনুশীলনে চালিয়ে গেছেন তিনি। এরপর সিলেটের শ্রীমঙ্গলে নিজের বাড়িতে চলে যান, সেখানেই বাড়ির আশপাশে ঘাম ঝরাচ্ছেন। সেখান থেকেই বাংলা ট্রিবিউনকে জনি বলেছেন, ‘আমি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। ফিজিও ও ট্রেনার আমাকে কিছু হোমওয়ার্ক দিয়েছেন। এছাড়া জাতীয় দলের কোচ জেমি ডেও কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী অনুশীলন করছি। আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো। নিজের ফিটনেস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ’জনির আশা আগামী জুলাইতে পুরোদমে মাঠের খেলায় ফিরতে পারবেন, ‘পুরোপুরি সেরে উঠতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু আমরা যেহেতু খেলোয়াড়, নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যে থাকি, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকি, তাই আমাদের সময় কম লাগবে। আশা করছি আগামী জুলাইয়ে যদি খেলা শুরু হয় তাহলে মাঠে নামতে পারব। সেটা করতে পারলে হয়তো জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাকি ম্যাচগুলো খেলার সুযোগ পাবো।’ বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপে খেলার আশাও রাখছেন তিনি, ‘এই মৌসুমে মাঠে নামা হয়নি। করোনার কারণে তো এখন খেলাই বন্ধ। এখনও জানি না লিগ আবার কবে শুরু হবে। করোনাকাল চলে গেলে লিগে খেলার আশা তো আছেই, এছাড়া এএফসি কাপেও খেলতে চাই।’