মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন
ব্রাসেলস: রোহিঙ্গাদের ওপর দমন নিপীড়নের ঘটনায় মায়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এছাড়া অস্ত্রসহ সব ধরনের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তারা। মায়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সে দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার ব্রাসেলসে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ের ওপর একটি যৌথ ইশতেহারের খসড়া ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। কিন্তু প্রশ্ন হলো ইউরোপীয় নেতারা মায়ানমারের সরকারের ওপর কতখানি চাপ প্রয়োগ করতে পারেন? এবং নাইপেদো’র সরকারের ওপর তার কতখানি প্রভাব পড়তে পারে? বৈঠকের আগে আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে বার্মার ওপর। আগে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞা ছিলো। এখন দুটি বিষয়ে আছে অস্ত্র সহ। এখন তাদের নতুন নিষেধাজ্ঞার চিন্তা করতে হবে’।
তিনি বলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকেই এ ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্ব নিতে হবে। যথেষ্ট নাহলেও কিছু ব্যবস্থা তারা নেবে বলে তিনি মনে করেন।তিনি বলেন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ ফ্রিজ করা সহ মায়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক রকম ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাবনা আছে এবং কতটুকু করবে সেটা বৈঠকে বোঝা যাবে।আহমেদ বলেন অধিকাংশ রোহিঙ্গাকেই রাখাইন থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এবং সেজন্য ওখানে গিয়ে কি ঘটেছে সেটা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেখতে হবে।‘তাদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিশন যেনো সেখানে যেতে পারে ও মায়ানমারের সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ দিতে হবে যাতে রোহিঙ্গা নিধন কর্মসূচি তারা বন্ধ করে’।পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার পরিবেশ মায়ানমারকে তৈরি করতে হবে এবং এক্ষেত্রে ইউরোপ ছাড়া বাংলাদেশের এ মূহুর্তে আশার জায়গা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।