মুকুটের সংবর্ধনাঃ জগলুল বাদ থাকছেন ইমন ও মতিউর রহমান
পুরনো বিবাদ শেষ, এখন সবকিছুই একসঙ্গে। এবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের সংবর্ধনা সভায় অতিথি জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। আগামী ১ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটকে সংবর্ধনা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন। এছাড়া আরো উপস্থিত থাকবেন জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম শামীম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, সিলেট জেলা আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিত সরকার। সংবর্ধনা সভায় প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত পুরকায়স্থ। অন্য একটি সূত্র জানায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংবর্ধনায় প্রথমে বিশেষ অতিথি ছিলেন আ.লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুল। পৌর মেয়রকে সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথির কথা জানানোও হয়। কিন্তু সম্প্রতি জেলা আ.লীগের রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণের ফলে আয়ূব বখত জগলুলের স্থলে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখা হয়েছে ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমনকে।
জানা যায়, মতিউর রহমান, নুরুল হুদা মুকুট ও আয়ূব বখত জগলুল বছর খানেক একসঙ্গে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি মতিউর ও মুকুটের সঙ্গে ‘ঈমানী ঐক্য’ থেকে বেরিয়ে যান আয়ূব বখত জগলুল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় শনিবার বিকেলে আয়ূব বখত জগলুল নিজে নেতা-কর্মী-সমর্থক-অনুসারী নিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেন। অপরদিকে, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ব্যারিস্টার ইমনের সঙ্গে হাত মেলান মতিউর রহমান ও নুরুল হুদা মুকুট। নয়া মেরুকরণের কারণে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয় পৌর মেয়র আয়ূব বখত জগলুলের নাম। সেখানে যুক্ত হন ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির। আরো জানা গেছে, জগলুল সমর্থিত কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও তাদের নাম বাদ পড়েছে। নতুন করে সংযুক্ত করা হতে পারে ব্যারিস্টার ইমনের অনুসারী কয়েকজনের নামও। সংবর্ধনা সফল করতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী অতিথি তালিকায় নাম পরিবর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা চাই দলের সব নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকুক। ঐক্যবদ্ধ থেকে দল সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হোক। আমরা দলে কোন্দল চাই না।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নুরুল হুদা মুকুটের কাছে হেরে যান ব্যারিস্টার ইমন। এ পরাজয়ের জন্য দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর বিরোধীতাকারী হিসেবে আয়ূব বখত জগলুলকে দায়ী করেছিলেন তিনি। আর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এক হওয়ায় আওয়ামী রাজনীতিতে এখন নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রঃস্থানীয় সহযোগী দৈনিক