মৃত্যুকে আমি ভয় পাই না-শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষ হয়েছে। দলের সভাপতি সভা শেষ করে বেরুলেন। কয়েকজন কর্মী অপেক্ষমান। শেখ হাসিনা তাদের নিরাশ করলেন না। সবার খোঁজ খবর নিলেন। এই টুকটাক আলাপচারিতার মধ্যেই উঠে এলো দেশের রাজনীতি। একজন বিমানের পাইলট গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গ টানলেন। বললেন, ‘আপা, ওরা কিন্তু গণভবন টার্গেট করেছিল। মুহূর্তেই চেহারায় দৃঢ়তা ফুটে উঠল। বললেন, হায়াত-মউত আল্লাহর হাতে। আমি মুসলমান, একদিনতো মরতেই হবে। মৃত্যুকে আমি ভয় পাইনা। কাজেই এসব করে আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই, এর মধ্যে কয়েকজন নেতাও যোগ দিয়েছেন আলোচনায়, এলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গ। শেখ হাসিনা প্রসঙ্গ টেনে ফিরে গেলেন আরও অতীতে। একটু ইমোশনাল হয়ে গেলেন। আমি তো এক্সটেনশন লাইফে আছি। আমার মৃত্যু তো হতে পারতো ৭৫ এর ১৫ আগস্ট। হয়তো আব্বার স্বপ্ন পূরণের জন্যই আমাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রেখেছেন।
তিনি বললেন, জিয়াসহ খুনিদের পরিকল্পনা ছিল পরিবারের সবাইকে হত্যা করা। যেন এই দেশটাই না থাকে। আমাকে হত্যা করতে পারেনি, তারপর তো আমাকে দেশে আসতেও কত বাধা। কাজেই এত সংগ্রাম করেছি, এগুলো নিয়ে ভয় পাই না। যে কদিন বাঁচব দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। জাতির পিতা যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তেমন বাংলাদেশ করলেই আমার দায়িত্ব শেষ।’ কেউ একজন উন্নয়নের সাফল্যের কথা বলতেই, আওয়ামী লীগ সভাপতি বললেন, ‘হ্যাঁ, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের কাছাকাছি চলে এসেছি। আমি আশাবাদী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হবে। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করে যেতে পারলে, মরেও শান্তি পাব। কর্মীদের সঙ্গে আলাপ-চারিতার এক পর্যায়ে বললেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটাই ওদের রাগ। ওরা তো বাংলাদেশ চায়নি। এজন্য ওরা বাংলাদেশের ভালো দেখতে পারে না। আমাকে এজন্যই মারতে চায়। আমি যদি ৮১ তে দেশে না ফিরতাম, তাহলে ওরা তো বাংলাদেশ রাখতো না। এটাই ওদের ক্ষোভের কারণ।’ বলছিলেন, মরণ একদিন হবেই, যতক্ষণ বেঁচে আছি মানুষের জন্য কাজ করব, দেশের জন্য সোনার বাংলা করে মরেও শান্তি পাব। কর্মীদের বললেন, এসব নিয়ে ভাবার দরকার নেই। যারা হত্যার রাজনীতি করে তাঁদের প্রতিহত করতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দিয়েই। এদের ভয়ে ভীত হলে চলবে না। আমাদের কাজ‘ আমাদের করে যেতে হবে। আর আমাদের কাজটা হলো মানুষের কল্যাণ।