কিছুদিন আগে তার মৃত্যুর খবর চাউর হয়েছিল। তা নাকি সম্পূর্ণ ভুয়া। বহাল তবিয়তেই নাকি আছেন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি। এমনটাই দাবি করা হয়েছে জাতিসংঘের রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়, আল কায়দাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রচুর সদস্য আফগানিস্তানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু পড়শি পাকিস্তানের সীমানায় সংগঠনের কোর গ্রুপ কারবার চালায়। সেখানে বসেই দলের ভারতীয় শাখা ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট’-এর সঙ্গে আগামী পরিকল্পনা ঠিক করা হয়। জাতিসংঘের বিশ্লেষকদের দাবি, আল জাওয়াহিরিও এই বিশেষ দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

এই কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী আপাতত আফগানিস্তানে নিরাপদ ঘাঁটি তৈরিতে ব্যস্ত। চলছে পরবর্তী টার্গেট ঠিক করার কাজও। মোট কথা, জোরদার নাশকতা চালানোর আগে আপাতত নিজেদের গুছিয়ে নিতে চাইছে তারা। এমনটাই দাবি তাদের।
২০১১ সালের মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনার এক অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর তার উত্তরসূরি হিসেবে আল-কায়দার প্রধান নিযুক্ত হন আয়মান আল জাওয়াহিরি। যিনি পেশায় ছিলেন একজন শল্য চিকিৎসক। ক্রমে জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েন। গড়ে তোলেন মিশরীয় ইসলামিক জিহাদ নামে একটি সংগঠন। গত বছর নভেম্বর নাগাদ রটে যায়, ওসামা বিন লাদেনের উত্তরসূরি, আল-কায়দার বর্তমান প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি এক মাস আগেই মারা গিয়েছেন। কোনও অভিযানে নয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয় । এদিকে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর মে মাস থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত আল কায়দা গুটিয়ে ছিল। কারণ একের পর এক জঙ্গি দমন অভিযানে দলের মাথা ও প্রধান নেতারা নিহত হন। তালেবানের অন্দরেও একই ছবি। তাই উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাবে জাল ছড়াতে পারছিল না কোনো সংগঠনই। সম্প্রতি রণকৌশলে বদল আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে নাশকতার ছক কষতে আল কায়দার উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়িয়েছে তালেবান। বাইরের দেশের জঙ্গিদের নাম-ঠিকানা নথিভুক্ত করার পদ্ধতিও চালু করা হয়েছে। এর মধ্যেই আলকায়েদা প্রধানের বেঁচে থাকার খবর নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল তা বলাই বাহুল্য।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn