মেহেরপুরে গাংনীতে ধর্ষণ ও এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। নিহতের নাম ইয়াকুব আলী কাজল। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি ওয়ানশুটারগান, গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। আজ শনিবার রাত আড়াইটার দিকে গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত কাজল গাড়াডোব গ্রামের জালাল উদ্দিন হাবুর ছেলে। গাংনী থানায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ পূর্বক গণধর্ষণ ও এক গৃহবধুকে এসিড নিক্ষেপ মামলার পলাতক আসামি ছিলেন তিনি। গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও গৃহবধুকে এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি ইয়াকুব আলী কাজলকে বৃহস্পতিবার রাতে গাংনী উপজেলার ধলা গ্রাম থেকে আটক করা হয়। পরে রাতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গাংনী থানা পুলিশ গাড়াডোব গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে কাজলের সহযোগীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এক পর্ষায়ে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে কাজল নিহত হয়। পরে পুলিশ কাজলকে গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে ইমারজেন্সিতে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে গৃহবধূ পুকুর থেকে গোসল করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় রসিকতার ছলে পানি জাতীয় কিছু তার মুখ ও শরীরে ঢেলে দেয় কাজল। বিষয়টি প্রথম টের না পেলেও পরবর্তীতের এসিডের প্রতিক্রিয়া শুরু হলে গৃহবধূ ও তার পরিবার গোপন রেখেই পুলিশে জানায়। রাতেই কাজলকে আটক করা হয়। গৃহবধূ অভিযোগ করে বলেন, ‘যাতায়াতের পথে বিভিন্ন সময় কাজল আমাকে লক্ষ্য করতো। সে আমাকে খুব পছন্দ করে এমন কথাবার্তা বলতো। আমি প্রতিবাদ করায় সে আমাকে এসিডে পুড়িয়ে দিয়েছে।’ গত বছরের ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাডাডোব গ্রামের ছাত্রীকে অপহরণ পূর্বক গণধর্ষণ করে কাজলসহ কয়েকজন। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার প্রধান আসামি হচ্ছে ইয়াকুব হোসেন কাজল। ঘটনার পর তারা আত্মগোপন করে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn