মৌলভীবাজারে এক রশিতে প্রেমিক-প্রেমিকার ঝুলন্ত মরদেহ
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একই রশিতে ঝুলে এক কিশোরী ও এক তরুণ আত্মহত্যা করেছে। তারা দুজনেই চা বাগানের শ্রমিক পরিবারের সদস্য।রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাল্লাতল চা-বাগানের ১০ নম্বর সেকশনের টিলার কাছে একটি গাছের সাথে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা হচ্ছে পাল্লাতল চা-বাগানের সুদাম ধার্মী দাসের মেয়ে হৈমন্তী ধার্মী দাস (১৭) ও একই বাগানের মিন্টু কেলীর ছেলে আকাশ কেলী (২০)। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা দুজনের মধ্যে হয়তো প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবার সেটা মেনে না নেওয়ায় তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এ দুজন নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের পাওয়া যায়নি। ভোরের দিকে শ্রমিকরা ঘুম থেকে ওঠে দুজনের লাশ একটি গাছে ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর ১টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার দিনগত রাত ১টা থেকে ভোর ৬ টার মধ্যে এরা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ খবর পায়। পরে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। ধারণা কারা হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। এজন্য দুজন একসাথে এ কাজ করেছে।’