মৎস্য চাষে অবদানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেলেন সিলেটের রুবা খানম
নারী উদ্যোক্তা হিসেবে মৎস্য চাষে অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২২ পেয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথো মেয়ে রুবা খানম। রোববার দুপুরে ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের রুবা খানমকে পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম সিলেট বিভাগের মধ্যে কোন নারী উদ্যোক্তাকে মৎস্য চাষে অবদানের জন্য রুবা খানমকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হলো। রুবা খানম বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের রামধানা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী দম্পতি জয়নাল আবেদীন ও আফিয়া খানমের মেয়ে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খানের ভাগ্নি।
জানা গেছে, ২০১২ সালে বাড়ির পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন রুবা খানমের মা আফিয়া খানম। একটু পরিশ্রমে তিনি পান ব্যাপক সফলতা। এ সফলতার কারণে ২০১৩ সালে ছয় বিঘা জমিতে দুটি পুকুর করে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু করেন আফিয়া খানম। এখানেও সফলতা পান তিনি। এরপর থেমে না থেকে মাছ চাষের পাশাপাশি শুরু করেন সবজি চাষ। তাতেও সফল হন আফিয়া খানম। ২০১৪ সালে উপজেলার অন্যতম নারী উদ্যোক্তা রুবা খানম মায়ের শুরু করা ‘মাছ ও সবজি’ চাষের সকল দায়িত্ব কাঁধে নেন। মায়ের মতো রুবা খানমও মাছ চাষে পেতে শুরু করেন সফলতা।
মাছ চাষের পাশাপাশি নিজেদের বাসাবাড়ি ও পুকুর পাড়সহ প্রায় দুই বিঘা জমিতে রুবা খানম করেছেন সবজি চাষ। ফলশ্রুতিতে মাছ চাষে সফলতা হিসেবে ২০১৫ সালে উপজেলা পর্যায়ে ও ২০১৬ সালে জেলা পর্যায়ে ‘সফল সমন্বিত মাছ চাষ উৎপাদনকারী’ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার পান আফিয়া খানম ফিশারিজের স্বত্বাধিকারী রুবা খানম। এরপর চলতি বছরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে ভারতে সফরে যান রুবা। রুবার সফলতার খবর শুনে নিজ এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা সম্পৃক্ত হচ্ছেন লাভজনক এ পন্থার সঙ্গে। এতে অর্থনৈতিকভাবে উপজেলার অনেকেই পাচ্ছেন নিজের কর্মফলের ওপর নির্ভর করে সফলতা। প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে ২০১৩ সালে রেনু পোনা উৎপাদন ও মৎস্য চাষে অবদানের জন্য বেলাল আহমদ ইমার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। বেলাল আহমদ ইমরানের বাড়িও বিশ্বনাথ উপজেলার রামধানা গ্রামে।