জেলায় উৎপাদিত উন্নতমানের ধান বীজ ভুটানে রফতানি করা হলো। যশোর বীজ প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের সার্বিক তত্বাবধানে এ ধান রফতানি করা হলো। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বিশেষ উদ্যোগে আপদকালীন মজুদ প্রকল্পের আওতায় যশোরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক ও কৃষি জমিকে নির্দিষ্ট নির্দেশনায় চাষাবাদের আওতায় আনা হয়।নব্বইয়ের দশকে ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট ব্রি ২৮- ও বিআর ২৬ আবিষ্কার করে সারাদেশে কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। আর সেই থেকে এ প্রজাতির ধান দেশে যত্নের সঙ্গে চাষ করা হয়। আর ফলনও ভাল হতে থাকে। তবে বীজ তৈরির জন্য কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন কাজ করে আপদকালীন চাহিদা মেটানোর জন্য। বাংলাদেশের ব্রি ২৮ ও বিআর ২৬ ধান বীজের সুনাম বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়ে।

আর এই ধানবীজ আমদানি করতে ভুটান সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবগত করে জানুয়ারির মাঝামাঝিতে। এরপর যশোরে আপদকালীন প্রকল্পের বিআর-২৬ ও ব্রি ২৮ মজুদ তথ্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে গেলে ভুটান কৃষি মন্ত্রণালয়কে তাদের চাহিদাতে সম্মতি প্রকাশ করে। দেশে বর্তমান বীজ মূল্য ৩৪ টাকা হলেও ভুটানের সঙ্গে প্রতি কেজিতে ২১ টাকা বেশি, অর্থাৎ ৫৫ টাকা কেজি দরে চুক্তি হয়।যশোরের বীজ প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ কেন্দ্র ১০ কেজির প্যাকেটে ৫শ’ প্যাকেট প্রস্তুত করে। আর দুইদিন আগে এই বীজ যশোর থেকে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের ট্রাকযোগে রোববার যায় লালমনিরহাটের বুড়িমারি সীমান্তে। সেখান থেকে ভারতের টেংরাবান্দা হয়ে যায় ভুটানে। এ ব্যাপারে বীজ প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক একরামুল হক জানান, এ সাফল্য মূলত যশোর অঞ্চলের কৃষকের। আপদকালীন বীজ মজুদ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য শতভাগ সফল করার পর তা আবার বিদেশে রফতনি হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn