যে প্রক্রিয়ায় আগামী নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচন করছে আ. লীগ
উৎপল দাস।।
আগামী বছরের প্রথমার্ধেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেক নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু হয়েছে। এমনকি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জেলায়ও সফর করছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক ওবায়দুল কাদের দলের তৃণমূল গোছানোর কাজে দেশ চষে বেড়াচ্ছেন। একই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী কারা হচ্ছেন সেটা নিয়ে দলের ভিতরে ও বাইরে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড এবং দলের কয়েকজন প্রভাব নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বাছায়ের কাজ শরু করেছে। সেক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজের মেধাবী, যোগ্য, সাহসী, ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব, জনবান্ধব, কর্মী বান্ধব, দুঃসময়ে দলে অবদান রাখা, ফুল টাইম রাজনীতিবিদ এবং ত্যাগীরাই মনোনয়নের জন্য বিবেচিত হচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্যও বিবেচনায় আসবে বলে পূর্বপশ্চিমকে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারনী মহল নিজ দল, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এবং গবেষণা সেলের মাধ্যমে প্রতিটি সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছে। আগামী নির্বাচনে মূলত এই তালিকা থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মনোনয়ন নেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ড. রাজ্জাক।
আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান পূর্বপশ্চিমকে বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশের সবচে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে সর্বশক্তি নিয়োগ করবে আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে দলের প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো আপোস করার সুযোগ নেই। তৃণমূলে জনপ্রিয়, ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকেই মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনাই দেবেন। আওয়ামী লীগের নেতারা একটি কথা বারবারই বলেছেন, কোনো হাইব্রিড নেতা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না।