রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল জন্মজয়ন্তী লন্ডনে উদযাপিত
লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ১৫৭তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১১৯তম জন্মবার্ষিকী শুক্রবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ‘ইমপ্রেসন অডিটরিয়ামে‘ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে। রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, বাংলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ পরিবারবর্গসহ উপস্থিত ছিলেন। হাই কমিশনার তার স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন প্রজন্মকে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জীবন ও সাহিত্যকর্মে অধিকতর আগ্রহী হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন, বাঙ্গালী জাতিকে মানবতা, উদারতা, অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবাদ ও সর্বোপরি স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য ও শিল্পকর্ম ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। বাঙালীর সংস্কৃতি ও চেতনা জাগরণে এ দু’কবির উদ্দীপনাময় ভূমিকা রেখেছে। হাইকমিশনার বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কালজয়ী গান, কবিতা ও নাটক এবং নজরুল এর বিদ্রোহী চেতনা আমাদের প্রবলভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। হাইকমিশনার বলেন বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে অসুস্থ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ বলেন, এ দু‘জন মহান কবিই তাঁদের জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন তৎকালীন পূর্ব বাংলায় অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে। বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতি, মানুষের জীবন, আচার-আচরণ, কৃষ্টি, ও সংস্কৃতি ইত্যাদি তাঁদের শিল্পকর্মে ফুটে উঠেছে যা পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালীর হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেছে। আলোচনা পর্ব শেষে, এই দু‘মহান ব্যক্তিত্বের অমর সৃষ্টি নিয়ে কবিতা আবৃত্তি, নজরুলগীতি, রবীন্দ্র সংগীত ও নৃত্যানুষ্ঠানসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।