রাজনীতিতে যোগ দিলেন কংগ্রেসের ‘ট্রাম্পকার্ড’ প্রিয়াঙ্কা
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। দেশটির জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে রাজনীতিতে তার এই পদার্পণকে অনেকেই কংগ্রেসের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ এমনকি ‘ট্রাম্পকার্ড’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। আগামী মে মাসে ভারতের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। তার আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করার খবর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন প্রিয়াঙ্কা।
৪৭ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে অনেকেই তার দাদি ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মতোই মনে করেন। প্রিয়াঙ্কার আচরণ, ব্যক্তিত্ব ও চলাফেরা তার দাদির মতোই। এতদিন তিনি তার মা সোনিয়া গান্ধী এবং ভাই রাহুল গান্ধীর আসন অ্যামেথি এবং রায়েরবালির রাজনীতিতে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন। ২০০৪ সালের পর থেকে রাজ্য এবং জাতীয় নির্বাচনে মা এবং ভাইয়ের পক্ষে বিরামহীন পরিশ্রম করেছেন দুই সন্তানের মা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অ্যামেথি এবং রায়েরবালিতে গান্ধী পরিবারের সদস্যরা প্রায় রাজকীয় মর্যাদা ও শ্রদ্ধার আসনে আসীন। কংগ্রেসের সূত্রগুলো বলছে, রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ৮০টি আসনের রাজ্য উত্তরপ্রদেশকে ধরেই কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার ভালো বিকল্প এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কাছে নেই। তাই এই প্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ট্রাম্পকার্ড হিসেবে ব্যবহার করে আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে চায় কংগ্রেস।
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের পূর্বাঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক করে দেয়া রাহুল গান্ধীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব পালন করবেন জোতিরআদিত্য। অ্যামেথিতে রাহুল গান্ধীর দু’দিনের সফর শুরুর পরপরই এই ঘোষণা এল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন; আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন তিনি। তবে কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বলছে, রাহুল গান্ধী ব্যর্থ হয়েছেন। সেজন্যই কংগ্রেস প্রিয়াঙ্কাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। সূত্র : এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।