মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা রাষ্ট্রীয় মদদেই ঘটেছে। ২০১৬ সালের এই রিজার্ভ চুরির তদন্তের সঙ্গে জড়িত এফবিআই কর্মকর্তা ল্যামন্ট সিলার বর্তমানে ফিলিপাইনে রয়েছেন। বুধবার তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রাষ্ট্রীয় মদদেই লুট হয়েছিল। এফবিআই’র এই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য না জানালেও বিশ্বের অন্যতম এই সাইবার অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নাম শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছেন। এর আগে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির সাথে উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে দাবি করেন।

সাইবার নিরাপত্তা ফোরামে ল্যামন্ট সিলার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার চুরির বিষয়ে সব তথ্য আমাদের কাছে আছে, রাষ্ট্রীয় মদদে ব্যাংকিং খাতে এমন চুরির ঘটনার উদাহরণ সারাবিশ্বে একটিই। গত সপ্তাহে রয়টার্সে প্রকাশিত এক সংবাদে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এ সাইবার চুরির সাথে উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে এফবিআই মনে করে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই চুরির ঘটনার পর আন্তর্জাতিক তদন্তের নেতৃত্ব দেয় এফবিআই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে হ্যাকাররা সুইফট কোড ব্যবহার করে নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে রিজার্ভের এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ স্থানান্তরে একাধিক নির্দেশ দেয়।

তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ফিলিপাইনে চীনা এক ক্যাসিনো মালিক জানান, তিনি সিনেটের তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন যে, চীনের দুই শীর্ষ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ডলার অর্থ তার কাছে এসেছে। ঢাকা থেকে ম্যানিলায় এ অর্থ স্থানান্তরের পেছনে ওই দুই ব্যক্তি দায়ী। বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির এ ঘটনায় একটি রেমিট্যান্স কোম্পানিসহ বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ফিলিপাইনের তদন্ত কর্মকর্তারা। দেশটির বিচার বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn