বিশ্বজুড়েই পর্যটন অর্থনীতির অন্যতম বড় হাতিয়ার হয়ে ওঠেছে। পর্যটনে পর্যটকদেরকে ‘লক্ষ্মী’ হিসেবেই অভিহিত করা হয়। এই লক্ষ্মীদের অপেক্ষাতেই এখন সিলেট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে আধার সিলেট। শ্রীভূমি সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো সারাবছরই মুখর থাকে পর্যটকদের পদচারণায়। আর ঈদ এলে ঢল নামে পর্যটকদের। চাঙা হয়ে ওঠে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্য। আর এবার ঈদে দীর্ঘ ছুটি হওয়ায় পর্যটকদের ঢল নামার অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা। পর্যটকদের বরণ করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। এদিকে, পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। পাহাড়ের সাথে মেঘের মিতালি, স্বচ্ছ জলের নিচে স্তরে স্তরে সাজানো নানা রঙের পাথর। উঁচু পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণাধারা; অথবা ছোট্ট খালের বাঁক ধরে নৌকায় করে ঘন বনে হারিয়ে যাওয়া-প্রকৃতির এমন রূপ-লাবণ্য উপভোগে প্রতি ঈদে সিলেটে ছুটে আসেন সৌন্দর্য্য পিপাসু পর্যটকরা। তাই ঈদ এলেই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে বাড়তি প্রস্তুতি নেন হোটেল-মোটেল মালিকরা। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ হোটেলের রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন হোটেল ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট ওনার্স এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ এ টি এম সুয়েব শিকদার সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন, ‘এ বছর ঈদের পরও চারদিন সরকারি ছুটি। তাই আশা করা যাচ্ছে পর্যটকদের আগমন গতবারের তুলনায় বেশি হবে। ঈদের আগেই হোটেলগুলোর অনেক রুম বুকিং হয়ে গেছে।’ এদিকে, ঈদে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিলেটের পুলিশ সুপার মো.মনিরুজ্জামান সিলেটভিউ২৪ডটকমকে বলেন, ‘ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। এছাড়া পর্যটন পুলিশও দায়িত্ব পালন করবে।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn