লন্ডনঃ হাউজ অব কমন্সে বেগম মুজিব বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনার
লন্ডন প্রতিনিধি
জাতির জনক শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হওয়ার পেছনে নেপথ্যে কারিগর ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলতুন নেসা মুজিব। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় তিনি সন্তানদের মানুষ করা, ঘর সংসার সামলানো থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের দেখভাল সবকিছুই করতেন। বঙ্গবন্ধুকে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করাসহ সবধরনের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই দিতেন এই মহীয়সী নারী। গতকাল লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৭টায় ঘটিকায় হাউজ অব কমন্সে “বঙ্গবন্ধু লেখক-সাংবাদিক ফোরাম’’ আয়োজিত বেগম মুজিব শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বক্তারা বলেন- বঙ্গবন্ধুর জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে কারাগারে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে এই নারী নেপথ্যে কাজ করেছেন। জাতি কোন দিন তার অবদানের কথা ভুলবেনা। হ্উাজ অব কমন্সের কমিটি রুম ১০ নাম্বারে আয়োজিত সেমিনারে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে কিনোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধুর নাতনী টিউলিপ সিদ্দিক এমপি, সেমিনারের হোস্ট ওয়াস স্টিটিং এমপি, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি এমপি, সামসুল ইসলাম এমপি, লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন, সহকারী হাইকমিশনার খন্দকার এম তালহা, মিনিস্টার প্রেস সাংবাদিক নাদিম কাদির, প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ।
টিউলিপ সিদ্দিক এমপি বলেন- আমি নানাকে দেখি নাই আমার জন্মের পূর্বেই তাঁকে হত্যা করা হয়, তবে মায়ের কাছ থেকে আমার নানা-নানী সম্পর্কে শুনেছি নানা যখন জেলে যেতেন ব্যাগেজ গোছগাছ করাসহ কয়েকটি খাতা তার সঙ্গে দিতেন নানী। নানা কারাগারে বসে বসে লিখতেন আর এ কারণেই আমরা পেয়েছি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী। তিনি সারা জীবন কষ্ট করেছেন।
দীপু মনি এমপি বলেন- বেগম ফজিলতুন নেসা মুজিব বঙ্গবন্ধুকে সবধরনের রাজনৈতিক পরামর্শসহ বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর রাখাসহ সবধরনের সিদ্ধান্তই দিতেন এই নারী। অনুষ্ঠানের হোস্ট ওয়াস স্টিটিং এমপি বলেন- আমি বঙ্গমাতা সম্পর্কে টিউলিপের কাছ থেকে অনেক কিছু শুনেছি আর একারনেই এখানে আপনাদের সাথে তার সম্পর্কে আলোচনা করতে এসেছি। তিনি জয় বাংলা বলে তার বক্তব্য শেষ করেন।
সংগঠনের সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের ফাউন্ডার প্রবীণ সাংবাদিক সুজাত মনসুর, তিনি এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পেছনে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে বলেন- এক বছরের ভেতর আমরা বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব, শেখ মুজিবের রেনু, একা একজন যুদ্ধ কিন্তু শত সেক্টরে, মুজিব মানেই মুক্তি, সফল রাজনীতিক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কবিতায় মুক্তিযুদ্ধসহ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশ করাসহ বিভিন্ন সময় সেমিনারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি।সেমিনারে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও বিভিন্নি সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।