লন্ডনে গিয়ে পুন:নির্বাচনের দাবী জানালেন সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী
সিলেট: সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রবাসী আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুর রব মল্লিক এবার লন্ডনে এসে পুর্ননির্বাচনের দাবী জানালেন। শুক্রবার পূর্ব লন্ডনের এক রেষ্টুরেন্টে বাংলা মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই দাবী জানান। তিনি বলেন, হাজারো কর্মী আমার জন্য মাঠে কাজ করেছে। এজেন্টও ছিলো ১২৭টি কেন্দ্রে। হাজার হাজার লোক ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ফলাফলে ভোট এতো কম! আমার এতো ভোট গেল কই? নির্বাচনে আমি সিলেট-২ ওসমানীনগর-বিশ্বনাথ আসনে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। আমাকে দুই উপজেলার মানুষ তাদের হৃদয়ে ঠাই দিয়ে অক্লান্তু পরিশ্রম করেন। হাজার হাজার ভোটার আমাকে ভোট দেয়। কিন্তু ফলাফলে আমার প্রাপ্ত ভোট দেখে আমি ও আমার সমর্থকরা হতবাক। নির্বাচনে স্থানীয় কিছু রাজনীতিবিদের বিতর্কিত ভূমিকা ও কৌশলী কারচুপির কারণে আমার ফলাফল বদলে দেওয়া হয়েছে। আমি এই ফলাফল প্রত্যাহার করে পুর্ননির্বাচনের দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। কারণ আমার আসনের ভোটাররা আমাকে স্বতস্ফুর্ত সমর্থন ও ভোট দিয়েছেন। যে হিসেবে আমি বিজয়ী হওয়ার কথা। কিন্তু আমার ভোট কারচুপির মাধ্যমে কমিয়ে দিয়ে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। এই মোকাব্বির খান নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে লন্ডন চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুইদিন আগে তিনি দেশে এসে নির্বাচনে অংশ নেন। আমি মনে করি চিহ্নিত অপশক্তির সাথে আঁতাত করে তাকে পাশ করানো হয়েছে। মোকাব্বির গত ৪০ বছরে এলাকায় না থেকে কিভাবে এতো ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেন এই প্রশ্ন রাখলাম। আমি মনে করি, দলীয় কোন্দল ও প্রতিহিংসার কারণে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে।
ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পূননির্বাচন দাবি করে তিনি বলেন, ভোটের আগে আমাকে একটি পক্ষ থেকে প্রলোভন দেখিয়ে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে বলা হয়, টাকা দিলে আমাকে বিজয়ী করা হবে। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমিই বিজয়ী হবো। কারণ ১২৭টি সেন্টারে যেমন আমার এজেন্ট ছিল তেমনি ছিল শতশত ভোটার। ফলাফল ঘোষনার পর আমি ও আমার সমর্থকরা হতবাক হয়ে যাই। এমনকি ফলাফল শুনে এখনো পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ আমার বাড়িতে ভিড় করে তারাও ফলাফল মেনে নিতে পারছে না। সবার একটি দাবী এই আসনে পুর্ননির্বাচন দেওয়া হোক। আমি মনে করি মোকাব্বির খানকে গায়েবি ভোটে বিজয়ী করে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি। তাই আমি নির্বাচন মানি না।