লন্ডনে যুক্তরাজ্য আ’লীগের বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন পালন
১৭ই মার্চ ছিলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। ১৯২০ সালের এই দিনে তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। শনিবার ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজন করে মিলাদ, দোয়া কেক কাটা ও আলোচনা সভার।দুপুর ২.০০ টায় পূর্ব লন্ডনের ব্ল মুন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন যুক্তরাজ্য সফররত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুদ্দিন মাস্টার, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ আবুল কাশ েম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক শাহ শামীম আহমদ,প্রবাস কল্যান সম্পাদক আনসারুল হক, প্রচার সম্পাদক মাসুক আহমদ, শিল্পও বানিজ্য সম্পাদক আসম মিসবাহ, মানবাধিকার সম্পাদক সারব আলী, লন্ডন আওয়ামী লেগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান মোজাহিদ প্রমূখ।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে কেক কাটার পূর্ব মুহুর্তে ছবি তুলাকে কেন্দ্র করে দুই প্রবীন নেতা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন সভাশেষে যখন কেক কাটা হবে তখন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক সবাইকে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানোর কথা বলেন। এসময় শীর্ষনেতাদের কাছাকাছি থাকাকে কেন্দ করে ঐ দুই নেতা একে অপরের দিকে তেড়ে আসেন। তারা হচ্ছেন এসেক্স আওয়ামীলীগের সভাপতি কয়েছ চৌধুরী ও লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মঈনুল হক। তারা কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গেলে উপস্থিত আওয়ামীলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলার স্বাধীনতার মহান স্থপতি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর নামেই পরিচালিত হয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু আজ বাঙালির প্রেরণার উ্ৎস। বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতিক তিনি। এর আগে ব্রিকলেইন মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।