লালু প্রসাদের কারাদণ্ড, ৫ লাখ রুপি জরিমানা
ভারতের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) প্রধান ও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় সাড়ে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দু’দিন বিলম্ব করে গতকাল ভারতের রানচি স্পেশাল সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আদালত এই রায় দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। খবরে বলা হয়, প্রসাদ জেল থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রায় শোনেন। তার ছেলে তেজস্বী যাদব বলেন, তারা মামলাটি উচ্চ আদালতের কাছে নিয়ে যাবে।পাশাপাশি কারাদণ্ডটি নিয়ে আলোচনা শেষে জামিনের জন্যও আবেদন করবে। প্রসঙ্গত, মামলায় লালু প্রসাদ ছাড়াও ফুল চন্দ, মহেশ প্রসাদ, বেক জুলিয়াস, সুনিল কুমার, সুশিল কুমার, সুধির কুমার ও রাজা রামকে আলাদা করে সাড়ে তিন বছর কারাদণ্ডসহ পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। বিচারক শিব পাল সিং মামলার ২৪ পাতা লম্বা চূড়ান্ত রায়টিতে স্বাক্ষর করেন। এদিকে, বিহারের অপর এক প্রভাবশালী দল জনতা ডাল (ইউনাইটেড)- এর নেতা কেসি তেয়াগি রায়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন ও ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। শুক্রবার, লালু প্রসাদ স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে শাস্তি কমানোর আবেদন জানান। তার আইনজীবী চিত্রাঞ্জন সিনহা তার স্বাস্থ্যের দুরবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রসাদ তার আবেদনে বলেন, এই কেলেঙ্কারিতে আমার কোনো সরাসরি ভূমিকা ছিল না। আমার স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও বয়সের দিকে দৃষ্টিপাত করে ন্যূনতম শাস্তির বিষয়টি বিবেচনা করবেন। উল্লেখ্য, সিবিআই আদালতটি গত ২৩শে ডিসেম্বর লালু প্রসাদসহ আরো ১৫ ব্যক্তিকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে। অভিযুক্তদের মধ্য থেকে বিহারের অপর এক সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও জেডি (ইউ) নেতা জগন্নাথ মিশরাসহ ছয় জনকে খালাস করে দেয়া হয়। আদালত, প্রসাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ৮০ ও ৯০’এর দশকে বিহারের কোষাগার থেকে গবাদি পশুর জন্য খাবার কেনার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করার দুটি মামলার একটিতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রসাদ।