লিবিয়ায় বিমান হামলা, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশিও
লিবিয়ায় একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলায় নিহত ৪০ জনের মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছেন। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (৩ জুলাই) স্থানীয় সময় ভোররাতে রাজধানী ত্রিপোলির তাজৌরা এলাকায় চালানো এ হামলায় আরো ৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশিও আছে। তবে সংখ্যা কত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বিমান হামলায় বিস্ফোরণে নিহতদের অধিকাংশই আফ্রিকান অভিবাসী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা যায়, ইউরোপে পাড়ি জমানোর জন্য অভিবাসীরা অন্যতম পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে লিবিয়াকে। উন্নত জীবনের আশায় লিবিয়া হয়ে সহজে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা।
২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফি নিহত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা এবং বিভাজন বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র ওসামা আলী ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, যে ভবনটিতে বিমান সরাসরি আঘাত হেনেছে, সেটিতে ১২০ জন অভিবাসী ছিলেন। তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, প্রাণহানির যে সংখ্যা দেয়া হয়েছে, তা প্রাথমিকভাবে গণনা করা। জাতিসংঘ সমর্থিত লিবিয়ার জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের (জিএনএ) প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সেররা ত্রিপোলির তাজোরা শহরের অভিবাসী কেন্দ্রে বিমান হামলার জন্য স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছেন। এক বিবৃতিতে জিএনএ বলেছে, হামলাটি ছিল সুনির্দিষ্ট টার্গেটে এবং পরিকল্পিত। অভিবাসী আটক কেন্দ্রে হামলার এ ঘটনাকে জঘন্য অপরাধ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে জিএনএ।