শত বছর ধরে সুনামগঞ্জে বন্যা হয়, তখন তো মাছ-হাঁস মারা যায়নি
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ‘শত বছর ধরে সুনামগঞ্জে বন্যা হয়, তখন তো মাছ মারা যায়নি, হাঁস মারা যায়নি। এবার মরেছে, এর কারণ কী?’তিনি বলেন, ‘বন্যার কারণে পানিতে কেমিক্যাল আসল কীভাবে মানুষ জানতে চায়। এর উৎস কোথায়?’ মঙ্গলবার দুপরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সোনপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে আ স ম রব এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘আগামীতে যদি পানি খেয়ে মাছ, হাঁস, পশুপাখির পাশাপাশি মানুষ মারা যায়, তার প্রতিকারে কী ব্যবস্থা করে রেখেছেন- সেটা মানুষকে জানান। জাতীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স করে দিন। তারা অনুসন্ধান করে প্রতিকার বের করুক।’ জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘হাওরে প্রতিবছর বন্যায় ফসল তলিয়ে যাবে সেটা হতে পারে না। লোক দেখানো রিলিফ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এখানে বছরে একটিমাত্র ফসল হয়। এর ওপরই মানুষের যাবতীয় নির্ভরতা। কাজেই মানুষকে বাঁচাতে এই ফসলের অবশ্যই সুরক্ষা দিতে হবে। এটা সরকারের দায়িত্ব।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখানে পাকা বাঁধ করে দেন যাতে আগামীতে আর ফসলহানি না ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন।’ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে আ স ম রব বলেন, ‘হাওরে এসে মানুষের চেহারাটা আরেকটু ভালো করে দেখে যান। নারী, শিশুদের অবস্থা দেখে যান। দেখে যান তারা কী খায়। প্রত্যক্ষভাবে দেখে গিয়ে স্থায়ীভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করুন।’ এ সময় দুইশ’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। জেএসডির সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি দেওয়ান সুবক্ত রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণপূর্ব সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউল করিম ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী শাহেদ কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা. ফারুক আহমদ। এর আগে সোনাপুর গ্রাম ও এর আশাপাশ এলাকা ঘুরে দেখেন সাবেক এই মন্ত্রী।