বার্তা ডেক্সঃঃপরীক্ষার সময় আবাসিক হল খুলে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে চতুর্থ দিনের আন্দোলনে চলকালে শাবির ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স (এফইএস) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়সারা বক্তব্যের অভিযোগ এনেছেন তারা।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পরীক্ষার সময় আবাসিক হলগুলো খুলে দিতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কোন সিদ্ধান্ত আসলে আমরা তা মেনে নিবো। আমরা রাষ্ট্র বিরোধী কোন কর্মকান্ড করবো না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শীঘ্রই আবাসন সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে হবে। আমরা দেখছি আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসন এবং বিভাগীয় প্রধানদের মাঝে কাদাছোড়াছুঁড়ি চলছে। তারা পরস্পর দায় এড়াচ্ছেন যদিও একাডেমিক কাউন্সিলে আবাসনের বিষয়টি বিভাগীয় প্রধানদের দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন পরীক্ষাকালীন আবাসন ব্যবস্থায় বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলে এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তোমরা কই থেকে এসব তথ্য পাও? আর ব্যবস্থাটা কি নেবো সেটা তোমাকে জানাতে হবে নাকি? যেই ব্যবস্থা নিবো সেটা আমার মাথায় আছে।’ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে পরীক্ষা দিতে আসবে। সেক্ষেত্রে আমরা যদি না জানি যে পরীক্ষার সময় আমাদের আবাসনের ব্যবস্থা আদৌ বিভাগগুলো করবে কিনা তবে সেটা আমাদের সংশয় বাড়াবে। পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকরা দ্বিধায় থাকবে। এ প্রেক্ষিতে অধ্যাপক বেলালের দায়ছাড়া ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। আমরা তার সুস্থতা কামনা করছি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আবাসনের ব্যাপারে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের দায়ছাড়া বক্তব্য শিক্ষার্থীদের হতাশ করছে। আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করছি। এদিকে আসন্ন অনার্স শেষবর্ষ ও মাস্টার্স পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে হল খোলাসহ পাঁচ দফা দাবিতে চারদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে অফলাইন রিভিউ ক্লাস (থিওরি এবং ল্যাব) নেয়া, পরীক্ষার সময় প্রতি ক্রেডিটে দুইদিন করে বিরতি দেয়া, উপস্থিতি নাম্বার ১০০% দেয়া এবং সকল ধরনের ফি ৭০ শতাংশ মওকুফ করা সহ আবাসন সমস্যার দ্রুত সমাধান করা।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৫৭ বার