শাহনেওয়াজ বাবলু-ক’দিন আগে শেষ হয়েছে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। কেন্দ্রীয় কমিটি কি পূর্ণাঙ্গ হবে? নাকি ভেঙে দিয়ে গঠন করা হবে নতুন আহ্বায়ক কমিটি। এদিকে, গত কয়েকদিনে দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করেছে বিএনপি। এ সময় দলটির নেতারা অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো ভেঙে নতুন কমিটির দাবি জানান। নেতাদের এ মতামত আমলে নিয়ে নতুন কমিটির বিষয়ে কাজ করার জন্য ইতিমধ্যে অঙ্গ সংগঠনগুলোকে তাগিদ দিয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড। তবে যেসব কমিটি দীর্ঘদিন মেয়াদোত্তীর্ণ রয়েছে সেগুলো ভেঙে নতুন কমিটি করা এবং যেসব কমিটি আংশিক রয়েছে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ করার কথা বলা হয়েছে হাইকমান্ড থেকে। দলীয় সূত্র জানায়, শিগগিরই ঘোষণা হতে পারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
ইতিমধ্যে নতুন কমিটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে দলের সিরিজ বৈঠক শেষে বিএনপি হাইকমান্ডের সঙ্গে বৈঠক করবেন ছাত্রদলের শীর্ষ নেতারা। এদিকে, কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গের আগেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তেজগাঁ কলেজ, তিতুমীর কলেজ, বাংলা কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ ইউনিটগুলোর নতুন কমিটি ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আগামী মাসের শেষের দিকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন আমাদের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এছাড়া করোনার কারণে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ ছিল। এখনো সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়নি। এসব কারণে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা স্থবির ছিল। আমরা ফের পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করেছি। আশা করছি আগামী মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আলোচনায় যারা: ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে জায়গা পেতে ইতিমধ্যে বিএনপি ও এর সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করছেন পদবঞ্চিতরা। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার ৫ কলেজ ও ঢাকা মহানগরের বর্তমান ও সদ্য বিদায়ী কমিটির প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃত্বে আসতে পারেন- শেখ আল ফয়সল, মো. মুতাছিম বিল্লাহ, খায়রুল আলম সুজন, মো. ঝলক মিয়া, এম.এম. মুছা, রোকুনুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, শাহ আলম, ইব্রাহীম খলিল ফিরোজ, আনোয়ার পারভেজ, মনজুরুল আলম রিয়াদ, সফিকুল ইসলাম সফিক, ইমরান হোসেন, আবদুস সাত্তার রনি, নাজমুল হাসান, সাকির আহমেদ, সালেহ আদনান, মুস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ, শরিফুল ইসলাম, জি.এম. ফকরুল হাসান, দিপু পাটোয়ারী, মো. রেজোয়ান আহমেদ। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে- সুরুজ মণ্ডল, আসাদুজ্জামান আসলাম, আতাউর রহমান বুলেট, আবুল খায়ের ফরাজী। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজু আহমেদ, শিমুল। ঢাকা কলেজ থেকে আলীজা মিজান, জহির হাসান মোহন, দেওয়ান মামুন, আসিক আহমেদ, ইসলামুল হক চঞ্চল, মারজান। কবি নজরুল কলেজ থেকে- আরিফুর রহমান আরিফ, মো মিলন হাওলাদার। তিতুমীর কলেজ থেকে আবুল হাসান চৌধুরী, রিয়াজ হোসেন, রেজাওনুল হক সবুজ। ঢাকা মহানগর থেকে জসীমউদ্দিন সরদার জীবন, আসাদুজ্জামান আশা, তানভীর আল হাদি, আবদুস সালাম হিমেল, হিমেল আল ইমরান, আফজাল রহমান প্রমুখ কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে পারেন।
২০১৯ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রদলের সভাপতি পদে ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর তিন মাস পর ৬০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সংসদ। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর কমিটির দুই বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১২৬ বার