শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় রোববার
ঢাকা: শেখ হাসিনাকে ২৮ বছর আগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার রায় রোববার।
রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু জানান, সকালে নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ এজলাসে হত্যা চেষ্টা মামলার রায় দেবেন বিচারক। আর বিকালে জনসন রোডে মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলার এজলাস থেকে আসবে বিস্ফোরক মামলার রায়। ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। শেখ হাসিনা তখন বাড়িতেই ছিলেন। ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ওই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে। ওই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু ভবনের (বর্তমানে জাদুঘর) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়। এইচ এম এরশাদের আমলে ওই হামলার ঘটনায় পর বিএনপি ক্ষমতায় এলে মামলাটি গতি হারায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষ করে হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে। আসামিরা হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারালে মামলটি আবার নিশ্চল হয়ে পড়ে। শেখ হাসিনার দল পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার পর ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। দুই আদালতে দুই মামলার বিচার করেন একই বিচারক।