শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
ঝড় তুলে ফিরে গেলেন থিসারা
পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তুলে ফিরে গেলেন থিসারা পেরেরা। পাল্টা আক্রমণের জন্য বেছে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানকে। বাঁহাতি এই স্পিনারই ফেরার লঙ্কান অলরাউন্ডারকে।চার বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ২০ রান তুলে ফেলা থিসারা আবার লং অফ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন সাকিবকে। এবার টাইমিং হয়নি। ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহর হাতে। ১৪ বলে ২৯ রান করে ফিরেন থিসারা। ৩০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৫১/৮। ক্রিজে আকিলা দনঞ্জয়ার সঙ্গী সুরঙ্গা লাকমল। জয়ের জন্য ২০ ওভারে আরও ১৭০ রান চাই শ্রীলঙ্কার।
সাকিবের জোড়া আঘাত
আসেলা গুনারত্নের পর ভানিদু হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে স্লগ করতে চেয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। তেমন শট খেলার লেংথে বল ছিল না। ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম। পরপর দুই বলে উইকেট নেওয়া সাকিবের হ্যাট্রট্রিক ঠেকিয়ে দেন আকিলা দনঞ্জয়া। ২৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১১৭/৭। দনঞ্জয়ার সঙ্গে ক্রিজে আছেন থিসারা পেরেরা। ২৪ ওভারে অতিথিদের প্রয়োজন আরও ২০৪ রান।
গুনারত্নেকে ফিরিয়ে সাকিবের প্রতিশোধ
ফিরতি ক্যাচ নিয়ে সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়েছিলেন আসেলা গুনারত্নে। শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডারকে বিদায় করেছেন সাকিব। বাঁহাতি স্পিনারকে ব্যাকওয়ার্ড কাভার দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠাতে চেয়েছিলেন গুনারত্নে। টাইমিং হয়নি। সহজ ক্যাচ চলে যায় অপেক্ষায় থাকা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের হাতে। ১৯ বলে ১৬ রান করে ফিরেন গুনারত্নে। তার বিদায়ের সময়ে শ্রীলঙ্কার স্কোর। ১১৭/৬।
শ্রীলঙ্কার একশ
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেভাবে কখনও গতি পায়নি শ্রীলঙ্কার ইনিংস। নিয়মিত উইকেট হারানোয় বারবার পুনর্গঠনের চেষ্টায় থাকতে হচ্ছে দলটির ব্যাটসম্যানদের। আঁটসাঁট বোলিংয়ে তাদের কাজটা আরও কঠিন করে তুলেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ২৩তম ওভারে তিন অঙ্কে গেছে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ। ২৩ ওভার শেষে দলটির স্কোর ১০৩/৪। দিনেশ চান্দিমাল ৩৩ বলে ২৬ ও আসেলা গুনারত্নে ১২ বলে ৯ রানে খেলছেন। ২৭ ওভার অতিথিদের প্রয়োজন আরও ২১৮ রান।
মুস্তাফিজের বলে বোল্ড ডিকভেলা
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের চোটে দলে ফেরা নিরোশান ডিকভেলা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না। দুই অঙ্ক ছুঁয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন। মুস্তাফিজের একটু নিচু হয়ে ভেতরে ঢোকা বল আড়াআড়ি খেলার মাশুল দেন ডিকভেলা। বল ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে স্টাম্প এলোমেলো করে দেয়। ২২ বলে ১৬ রান করে ফিরেন ডিকভেলা। ১৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮৫/৪। ক্রিজে দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গী আসেলা গুনারত্নে। জয়ের জন্য ৩১ ওভারে আরও ২৩৬ রান চাই অতিথিদের।
মাশরাফির ৮ ওভারের স্পেল
৮ ওভারের লম্বা স্পেলে বোলিং করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। মেডেন দিয়ে শুরু করা অধিনায়ক ৩০ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। ফিরিয়ে দিয়েছেন উপুল থারাঙ্গা ও কুসল মেন্ডিসকে। আগের ম্যাচে প্রথম ওভারে বোলিংয়ে আসা সাকিব আল হাসান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আক্রমণে এসেছেন দেরিতে। মাশরাফির ৮ ওভারের স্পেল শেষ হওয়ার পর তার জায়গায় বোলিংয়ে আসেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম ওভারে হজম করেছেন ছক্কা, দিয়েছেন ১০ রান। ১৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮৩/৩। দিনেশ চান্দিমাল ১৬ ও নিরোশান ডিকভেলা ১৫ রানে খেলছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩২ ওভারে ২৩৮ রান চাই শ্রীলঙ্কার।
মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার মেন্ডিস
লম্বা স্পেলে আঁটসাঁট বোলিংয়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রেখেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। উপুল থারাঙ্গাকে ফেরানোর পর তুলে নিয়েছেন কুসল মেন্ডিসের উইকেটও। গ্যাপ বের করতে পারছিলেন না মেন্ডিস। রানের জন্য মরিয়া হয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন মাশরাফিকে। বল উঠল আকাশে। মিড অফে ক্যাচ ধরলেন রুবেল হোসেন। শেষ হল মেন্ডিসের নড়বড়ে ইনিংস। ৩৪ বলে একটি চারে ১৯ রান করে ফিরেন মেন্ডিস। ১৪ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬৪/৩। ক্রিজে নিরোশান ডিকভেলার সঙ্গী দিনেশ চান্দিমাল। জয়ের জন্য ৩৬ ওভারে আরও ২৫৭ রান চাই অতিথিদের।
থারাঙ্গার প্রতিরোধ ভাঙলেন মাশরাফি
অনেকবার একটুর জন্য উপুল থারাঙ্গার কানা নেয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার আউট সুইঙ্গার। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অধিনায়কই ফেরালেন লঙ্কান ওপেনারকে। অন্য প্রান্তে পায়ে টান লাগায় ভুগছিলেন কুসল মেন্ডিস। তাই রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন থারাঙ্গা। সবচেয়ে বেশি যিনি ভোগাচ্ছেন সেই মাশরাফিকে উড়িয়ে শুরু করতে চাইলেন পাল্টা আক্রমণ। কিন্তু টাইমিং ঠিক হল না, ক্যাচ গেল মিড অফে মাহমুদউল্লাহর হাতে। ৩৫ বলে ২৫ রান করে ফিরলেন থারাঙ্গা। ১০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪৪/২। ক্রিজে মেন্ডিসের সঙ্গী নিরোশান ডিকভেলা। জয়ের জন্য শেষ ৪০ ওভারে আরও ২৭৭ রান চাই লঙ্কানদের।
প্রথম আঘাত নাসিরের
শুরুতেই বিপজ্জনক কুসল পেরেরাকে ফিরিয়ে দিলেন নাসির হোসেন। এই অফ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়েছেন লঙ্কান বাঁহাতি ওপেনার। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দেওয়া নাসিরকে এগিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন কুসল। এগিয়ে আসায় বল হয়ে ইয়র্কার লেংথের। ক্রস ব্যাটে বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প। ৩ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭/১। ক্রিজে উপুল থারাঙ্গার সঙ্গী কুসল মেন্ডিস। জয়ের জন্য আরও ৩১৪ রান চাই অতিথিদের।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন থারাঙ্গা
দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই আঘাত হেনেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জোরালো আবদনে সাড়া দিয়ে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বাঁচেন উপুল থারাঙ্গা। লঙ্কান ওপেনার এলবিডব্লিউ হননি মাশরাফির বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করায়।
তিন ফিফটিতে বাংলাদেশের তিনশ পার
প্রথম চার ব্যাটসম্যানের তিন জন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম পেলেন ফিফটি। প্রথম চার উইকেটেই এলো পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি। তাতে শ্রীলঙ্কাকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ। শেষ ১০ ওভারে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ডেথ ওভারে যাওয়া দলটি শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৭৭ রান। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করে ৩২০ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২০/৭ (তামিম ৮৪, এনামুল ৩৫, সাকিব ৬৭, মুশফিক ৬২, মাহমুদউল্লাহ ২৪, সাব্বির ২৪*, মাশরাফি ৬, নাসির ০, সাইফ ৬*; লাকমল ০/৬০, প্রদিপ ২/৬৬, দনঞ্জয়া ১/৪০, থিসারা ৩/৬০, গুনারত্নে ১/৩৮, হাসারাঙ্গা ০/৫১)
সাব্বিরের ১ হাজার রান
শেষের দিকে ১২ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে দলের সংগ্রহ ৩২০ রান পর্যন্ত নিয়ে যান সাব্বির রহমান। সুরঙ্গা লাকমলের করা ইনিংসের শেষ ওভার থেকে আসে ১৯ রান। এর মধ্যে সাব্বির শেষ তিন বলে দুটি চার একটি ছক্কায় নেন ১৪ রান। লাকমলকে লংঅনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ওয়ানডেতে নিজের রান চার অঙ্কে নিয়ে যায় সাব্বির। এক হাজার রানে যেতে বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানের লাগল ৪২ ইনিংস।
বাংলাদেশের তিনশ
শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারানোয় কমে বাংলাদেশের রানের গতি। ৪৯তম ওভারে তিনশ রানে গেল স্বাগতিকদের সংগ্রহ।
নাসিরের গোল্ডেন ডাক
গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পেলেন নাসির হোসেন। রিভিউ নিয়ে তাকে ফিরিয়েছে শ্রীলঙ্কা। থিসারার স্টাম্প সোজা ইয়র্কার ব্যাটে খেলতে পারেননি নাসির। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।
মাশরাফির বিদায়
রানের গতি বাড়াতে নাসির হোসেনের আগে ব্যাটিংয়ে এসেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে তেমন কিছু করতে পারেননি অধিনায়ক। নুয়ান প্রদিপের বলে ধরা পড়েন ডিপ স্কয়ার লেগ সীমানায়। ৫ বলে ৬ রান করে ফিরেন মাশরাফি। ৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৯৭/৬।
ইয়র্কারে বোল্ড মুশফিক
পরপর দুই ওভারে উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পরের ওভারে তাকে অনুসরণ করেন মুশফিকুর রহিম। থিসারা পেরেরাকে এক্সট্র কাভার দিয়ে চার হাঁকান মুশফিক। পরের বলে ইয়র্কারে স্লগ করতে গিয়ে হন বোল্ড। ৫২ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ফিরেন ৬২ রান করে। ৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৮৬/৫। ক্রিজে সাব্বির রহমানের সঙ্গী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
৫০ রানের জুটি গড়ে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
প্রথম চার উইকেটেই পঞ্চাশ রানের জুটি পেল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে পঞ্চাশ ছুঁয়েই ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। আগের ওভারেই ভানিদু হাসারাঙ্গাকে লংঅন দিয়ে ছক্কা হাঁকান মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ধরে রাখেন স্ট্রাইক। জুটির রান নিয়ে যান পঞ্চাশে। নুয়ান প্রদিপকে পরের ওভারের প্রথম বলেই উড়াতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু স্লোয়ারে টাইমিং করতে পারেননি। আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ লংঅন থেকে এগিয়ে মুঠোয় নেন থিসারা পেরেরা। ২৩ বলে ২৪ রান করে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৮০/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী সাব্বির রহমান।
মুশফিকের ফিফটি
তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানের পর ফিফটি পেলেন মুশফিকুর রহিম। স্কুপ করে নুয়ান প্রদিপকে চার হাঁকানোর পর দুই রান নিয়ে নিয়ে পঞ্চাশে পৌঁছান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ৪২ বলে আসে মুশফিকের ফিফটি। তার ব্যাটে তিনশ রানের দিকে ছুটছে বাংলাদেশ। ৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৫/৩। মুশফিক ৪৩ বলে ৫২ ও মাহমুদউল্লাহ ১৯ বলে ১৬ রানে খেলছেন।
সাকিবকে ফেরালেন গুনারত্নে
জুটি ভাঙলেন শ্রীলঙ্কার আসেলা গুনারত্নে। বোলিংয়ে ফিরে বিদায় করলেন সাকিব আল হাসানকে। স্লো মিডিয়াম পেস উড়াতে টাইমিংয়ের চেয়ে শরীরের জোরের ওপর বেশি নির্ভর করেছিলেন সাকিব। গতি ছিল কিন্তু বল উড়েনি। বুকের সমান উচ্চতার ক্যাচ দুই হাতে মুঠোয় নেন গুনারত্নে। ৬৩ বলে ৭টি চারে ৬৭ রান করে ফিরেন সাকিব। ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৭/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
সাকিব-মুশফিক জুটির পঞ্চাশ
টানা তিন উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি পেল বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে ৪৬ বলে পঞ্চাশ রান করে সাকিব আল হাসান -মুশফিকুর রহিম জুটি। ৩৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৪/২। সাকিব ৬০ বলে ৬৬ ও মুশফিক ২৩ বলে ২৮ রানে খেলছেন।
বাংলাদেশের দুইশ
দ্বিতীয় একশ দ্রুত তুলে নেল বাংলাদেশ। ২০তম ওভারে তিন অঙ্ক ছোঁয়া বাংলাদেশ দুইশ রানে গেল ৩৫তম ওভারে। ৩৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২০২ রান। সাকিব ৫৫ বলে ৫৭ ও মুশফিক ১৬ বলে ১৫ রানে খেলছেন।
তিনে সাকিবের প্রথম ফিফটি
তিন নম্বরে সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্সের গ্রাফ ঊর্ধমুখী। শূন্য দিয়ে শুরু করেছিলেন। পরের দুই ম্যাচে ফিরেন ২৯ ও ৩৭ রান করে। এবার তিন নম্বরে পেলেন প্রথম ফিফটি। ক্যারিয়ারে ৩৬তম।
শুরুতে এক তালে খেলে চলেছেন সাকিব। খুব একটা ঝুঁকি নিচ্ছেন না। করছেন হিসেবী ব্যাটিং। তবে ফিফটিতে পৌঁছান ঝুঁকিপূর্ণ একটি সিঙ্গেল নিয়ে। ৫০ বলে পঞ্চাশ ছুঁতে হাঁকান ৫টি চার।
রিভিউ নিয়ে তামিমকে ফেরাল শ্রীলঙ্কা
একটু মন্থর শুরু করা তামিম ইকবাল শুরু করেছিলেন সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পঞ্চাশ ছুঁয়ে বাঁহাতি ওপেনার ফিরেছেন ৮৪ রান করা। আকিলা দনঞ্জয়ার বল দূর থেকে খেলে উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলাকে ক্যাচ দেন তামিম। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন আত্মবিশ্বাসী ডিকভেলা।। তাতে পাল্টায় সিদ্ধান্ত, ফিরে যান বাঁহাতি ওপেনার। ১০২ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৪ রান করে তামিমের বিদায়ে ভাঙে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার ৯৯ রানের জুটি। ৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭১/২। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
জুটির পঞ্চাশ
সাকিব তিনে উঠে আসার পর টানা দুই ম্যাচে দ্বিতীয় উইকেটে জুটির হাফসেঞ্চুরি পেল বাংলাদেশ। দুবারই সঙ্গী তামিম। শুরুটা একটু মন্থর হয়েছিল বলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রানের গতি বাড়ানো ছিল জরুরি। সেই কাজটি করেছেন সাকিব। জুটির পঞ্চাশ হয়েছে তাই ৮ ওভারেই। ২৪ বলে ২৪ রানে খেলছেন সাকিব, ৭৬ বলে ৫২ রানে তামিম। বাংলাদেশের রান ২৩ ওভারে ১ উইকেটে ১২২।
তামিমের ফিফটি
আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, এই ম্যাচে যেন সেখান থেকেই এগিয়ে চলেছেন তামিম ইকবাল। এই ওপেনার করে ফেললেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। এদিন শুরু থেকে তামিম ছিলেন সাবধানী। খেলেছেন সতর্কতায়। মন দিয়েছেন জুটি গড়ায়। পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৭২ বলে। ওয়ানডেতে তার ৪০তম ফিফটি।
একশ ছাড়িয়ে
আসেলা গুনারত্নেকে লেট কাট খেলে তামিম ইকবালের বাউন্ডারি। সেই শটেই বাংলাদেশের রান পেরিয়ে গেল একশ। ২০তম ওভারের প্রথম বলে দলের রান স্পর্শ করল তিন অঙ্ক।
ফিরে গেলেন এনামুল
দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না এনামুল। ২ ও ৩৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েও ফিরেন ৩৫ রানে। এক বল আগেই থিসারার বলে দ্বিতীয় জীবন পান এনামুল। আবার স্ট্রাইক পেয়ে শর্ট বল পুল করতে চেয়েছিলেন। ব্যাটে খেলতে পারেননি। গ্লাভস ছুঁয়ে সহজ ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলার কাছে। ৩৭ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ৩৫ রান করে ফিরেন এনামুল। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৭/১। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী সাকিব আল হাসান।
আবারও বেঁচে গেলেন এনামুল
আবার জীবন পেলেন এনামুল হক। ২ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার ওপেনার আবার জীবন পান ৩৪ রানে। থিসারা পেরেরার বল এগিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন এনামুল। মিড অফের ফিল্ডার পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে বলের নিচে যান কিন্তু ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি।
তামিম-এনামুলে বাংলাদেশের ভালো শুরু
পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটিতে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর বিনা উইকেটে ৬৮ রান। এই সিরিজ দিয়ে ওয়ানডেতে ফেরা এনামুল হক ৩৫ বলে অপরাজিত ৩৪ রানে। এরই মধ্যে তিনটি চারের পাশে হাঁকিয়েছেন একটি ছক্কা। নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন তামিম। ৪৯ বলে খেলছেন ২৮ রানে।
সতর্ক তামিম, আক্রমণাত্মক এনামুল
শুরুতে একটু সময় নিচ্ছেন তামিম ইকবাল। রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন এনামুল হক। ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩০ রান। ২৬ বলে তামিমের রান ১২। এনামুল ১৬ বলে ১৮।
জীবন পেলেন এনামুল
শুরুতেই জীবন পেলেন এনামুল হক। প্রথম স্লিপে তার ক্যাচ ছেড়েছেন কুসল মেন্ডিস। সুরঙ্গা লাকমলের প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় বলে দুই রান নিয়ে রানের খাতা খুলেন এনামুল। পরের বলে সহজ ক্যাচ দেন স্লিপে। কিন্তু মুঠোয় নিতে পারেননি মেন্ডিস।
শ্রীলঙ্কা দল দুই পরিবর্তন
চোটের জন্য ছিটকে গেছেন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার জায়গায় দলে ফিরেছেন নিরোশান ডিকভেলা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দিনেশ চান্দিমাল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সে জায়গা হারিয়েছেন দুশমন্থ চামিরা। তার জায়গায় দলে ফিরেছেন আরেক পেসার নুয়ান প্রদিপ।
শ্রীলঙ্কা দল: উপুল থারাঙ্গা, কুসল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকভেলা, কুসল মেন্ডিস, আসেলা গুনারত্নে, থিসারা পেরেরা, আকিলা দনাঞ্জয়া, সুরঙ্গা লাকমল, ভানিদু হাসারাঙ্গা, নুয়ান প্রদিপ।
চার পেসার নিয়ে বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই বাঁহাতি স্পিনার নিয়ে খেলা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলছে চার পেসার নিয়ে। সানজামুল ইসলামের জায়গায় দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার সফরে একমাত্র ওয়ানডেটি খেলেন এই অলরাউন্ডার। দেশের হয়ে চারটি টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে ২১ বছর বয়সী সাইফের। দেশের মাটিতে এই প্রথম খেলছেন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
প্রতিপক্ষ আবহাওয়া আর উইকেট বদলের সঙ্গে বদলে গেল মাশরাফি বিন মুর্তজার সিদ্ধান্ত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মন্থর উইকেটে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে স্পোর্টিং উইকেটে নিলেন ব্যাটিং।
হাথুরুসিংহে নয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা
চন্দিকা হাথরুসিংহের নতুন দলের সঙ্গে পুরোনো দলের প্রথম লড়াই। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে ঘুরেফিরে এসেছে তার প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ ক্রিকেটে হাথুরুসিংহের অধ্যায় শেষ। তার পরিকল্পনাও ভুলে গেছে বাংলাদেশ দল। সাবেক কোচকে নিয়ে ভাবার সুযোগই দেখেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওয়ানডে অধিনায়ক তাকিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ জয়ের দিকে। পেশাদার দল হিসেবে প্রতিপক্ষের কোচ নয়, ক্রিকেটারদের দিকে মনোযোগ স্বাগতিকদের।
তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়ার আত্মবিশ্বাস মাশরাফির
উইকেট দেখে বড় রানের সম্ভাবনা দেখেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রয়োজন হলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে আগে বোলিং করতে হলে প্রতিপক্ষকে থামাতে চান ২৭০/২৮০ রানের ভেতরে। ছন্দে আছেন তামিম ইকবাল। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ভালো শুরু পেয়েছিলেন এনামুল হক ও সাকিব আল হাসান। তাই ব্যাটিং নিয়ে নির্ভার মাশরাফি।
বোলারদের বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেখছেন অধিনায়ক
জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দেখে মাশরাফি বিন মুর্তজা নিশ্চিত, পরের ম্যাচে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশের পেসারদের। পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পাওয়ায় আর্দ্রতা নেই উইকেটে। বল ব্যাটে আসবে দ্রুত। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বোলারদের বাড়তি চ্যালেঞ্জ দেখছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সতীর্থদের ওপর আস্থা আছে তার। তাই লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা খুব ভালো ব্যাটিং করলেও তিনশ রানের নিচে থামানোর ব্যাপারে আশাবাদী মাশরাফি।
লঙ্কান উদ্বোধনী জুটি নিয়ে সতর্ক বাংলাদেশ
গত বছরটা খুব বাজে কেটেছে শ্রীলঙ্কার। নতুন বছরও শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে। তবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দলের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ নেই মাশরাফি বিন মুর্তজার। ম্যাচ উইনার অনেক আছে লঙ্কানদের। তবে দুই ওপেনারকে আলাদা করে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ত্রিদেশীয় সিরিজে উপুল থারাঙ্গার সঙ্গে ওপেন করছেন কুসল পেরেরা। দুই জনেরই আছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা। ওয়ানডেতে থারাঙ্গার তিনটি সেঞ্চুরি আছে বাংলাদেশের বিপক্ষে, কুসলের একটি। দুই ওপেনারকে যত দ্রুত সম্ভব সাজঘরে ফেরত পাঠাতে চান মাশরাফি।