বিএড পরীক্ষার জাল সনদে চাকরি করে আসছিলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দিয়াড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। সম্প্রতি তার সনদ জাল বলে প্রমাণিত হয়। মাদরাসা সুপারই তার সনদ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আনেন। এ নিয়ে শুরু শত্রুতার সুপারকে ফাঁসাতে তাই বয়োবৃদ্ধ শ্বশুরকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ধরালো ছুরি দিয়ে জবাই করে লাশ ফেলে পালিয়ে যান ছোট জামাতা (মাদরাসাশিক্ষক) আবুল কালাম আজাদ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সাতক্ষীরায় বাবা-মায়ের হাতে ১৫ দিনের শিশু হত্যা ও কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাস হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনের ঘটনায় তিনি এ প্রেস ব্রিফিং করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ও সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ্ উদ্দিন।

পুলিশ সুপার বলেন, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের কৃষক মোসলেম আলী বিশ্বাসের ছোট জামাতা দেয়াড়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তার বিএড সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় সম্প্রতি তদন্ত হয়। এতে তিনি মাদরাসা সুপারের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ জন্য তিনি সুপারকে হত্যার চেষ্টা করেন। সফল হতে না পেরে তিনি শ্বশুরকে হত্যা করে তার দোষ মাদরাসা সুপারের ঘাড়ে চাপানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক শ্বশুরকে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে নতুন বাড়িতে তিনি ও তার ভাতিজা হাবিবুর বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে শ্বশুরকে জবাই করে ফেলে রাখে।

এসপি জানান, সুপারকে ফাঁসাতে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। পুলিশ আবুল কালাম আজাদ ও তার ভাইপো হাবিবুরকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, হ্যান্ড গ্লাভসসহ বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করে। কালামকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে হাবিবুরকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ২৬ নভেম্বর থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা দায়ের করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn