সরকারি সম্পদ লুটপাটের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন বাজেটের প্রতিটি পয়সা যাতে যথাযথ ব্যবহার হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে সরকারি কর্মচারিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তার সরকার সরকারি সম্পদ লুটপাটের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির মাধ্যমে মানুষের সম্পদ কোনভাবেই যেন লুটপাট করা না হয় সে ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি এবং দুর্নীতি দমন ও শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠায় ‘জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা) বিধিমালা, ২০১৭’ প্রণয়ন করেছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুষের সেবা পেতে যে কোন সমস্যা নিরসনে গণশুনানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের (বিএএসএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০১৮ তে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। সরকার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা বিশাল বাজেট দিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। সেই বাজেটের প্রতিটি টাকা যাতে যথাযথভাবে ব্যবহার হয় সে বিষয়েও সচেতনতা দরকার।’ মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং বিএএসএ সভাপতি ও তথ্য সচিব আব্দুল মালেকও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিএএসএ মহাসচিব এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী সভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সিনিয়র সচিব ও সচিব, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, আমন্ত্রিত অতিথি এবং বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা যখন গ্রহণ করি তখনও আমি চাই এর সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকেন তারা যেন কোনটা যথাযথভাবে মানুষের প্রয়োজন এবং কাজে লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখেন। জনসেবা যেন আরো বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন যাতে গতিশীলতা পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা যেন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ অনেক কষ্ট করে আমরা টাকা-পয়সা জোগার করি।’ বাসস