ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বুধবার সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। রিজভী আহমেদ বলেন, বুধবার দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশী চালিয়েছে। বাসার লোকজনদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও বাসার স্টাফ সালামসহ ৩ জনকে ধরে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বনানীর বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় তাকে বাসায় না পেয়ে তার স্ত্রী, পুত্র ও অন্যান্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান তোতা এবং জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, পাবনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মনোয়ার শামীম, ঢাকা মহানগর পল্টন থানা যুবদলের সভাপতি আসিফ ওমর ফারুক, ওয়ারী থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, হাজারীবাগ থানা মহিলা দলের সভানেত্রী রত্না আক্তার, ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান পাপ্পু, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাহ সিব্বির আহমেদ বুলু, সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এন এম আবদুল্লাহ উজ্জল, বগুড়ার শান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি কামরুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গদলের বহু নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গদলের প্রায় ৭০ জন, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস শুক্কুর, উত্তর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক তকিবুল হাসান চৌধুরী ত্বকীসহ ৩০ জন, নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফারুকুজ্জামান ফারুক, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম পিন্টুসহ ৪৭ জন, কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গদলের ৭৭জন, খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি অঙ্গদলের ৩৪জন, গাইবান্ধার বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গদলের ৬৮ জন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির ১৫জন, নোয়াখালী শহর বিএনপির ৫জন, বগুড়া শহর বিএনপির ৩জন, কুড়িগ্রাম বিএনপির ১১জন, টাংগাইল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হামিদ তালুকদারসহ ৫জন, ঝালকাঠি পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত হোসেনসহ ৫জন, জামালপুরের মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ থেকে ১৫জন, হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমেরীগঞ্জ উপজেলা থেকে ৮জন,

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, ওসমানী নগর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইয়াহিয়া, অলংকার ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলতাফ মেম্বার, যুবদল নেতা আবু সুফিয়ানসহ অন্তত ৫জন, কক্সবাজার জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গফুর উদ্দিন, কুতুবদিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রেজাউল করিম, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল হক চৌধুরী, চকরিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল হাসানসহ ২০জন, পিরোজপুরে ৯ জন, গোপালগঞ্জ বিএনপির ৬জন, ফরিদপুর জেলা বার এসোসিয়েশনের ৪ নেতাসহ ১২জন, রাজশাহীর ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রিজভী আহমেদ অবিলম্বে দলের গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn