বার্তা ডেক্স:: গত বছরের শেষের দিকে দলের নেতাকর্মীরা ধর্ষণকাণ্ড ঘটানোর দায়ে সিলেটে ব্যাকভাবে সমালোচিত হয় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের পর এবার এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। তাই সিলেটে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে ছাত্রলীগের পর ছাত্রদলও এবার আলোচনায়। জানা গেছে, সিলেটের কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিন সন্তানের জননী। বিধবা এ নারী ওই ছাত্রদল নেতার ভয়ে স্বামীর ভিটে পর্যন্ত ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়িতে। তবে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমদ শিপু এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।

এর আগে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজ ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে স্বামীকে আটকে প্রাইভেট কারের ভেতর এক নববধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ওই রাতে নববধূর স্বামী বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয় ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র‌্যাব। বর্তমানে তারা করাগারে আছেন।

এদিকে,  গত ১৯ জানুয়ারি রাতে কানাইঘাটে বোরকা পরে তিন সন্তানের এক জননীর ঘরের দরজা ভেঙে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও কানাইঘাট উপজেলার আগতালুক গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের আহমদ শিপু। ঘটনার দিন রাতে ধর্ষিতার ১১ ও ৮ বছর বয়সী দুই সন্তান তাদের নানার বাড়িতে ছিল। আর ভিকটিমের কাছে ছিল তার চার বছর বয়সী এক ছেলে।

ধর্ষনের পর শিপু ওই নারীর মোবাইল ফোন নাম্বার নিয়ে যায় এবং ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়। পরদিন শিপু ওই নারীকে ফোন দিয়ে রাতে সে আবার আসবে বলে জানায়। বাঁধা দিলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। ফোন পাওয়ার পর ভয়ে ভিকটিম স্বামীর ভিটা ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।

এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও এখনো অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমদ শিপুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার পর থেকে সে গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম।

সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি জানান, জুবায়ের আহমদ শিপুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। সাংগঠনিকভাবে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। জুবায়ের আহমদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn