জকিগঞ্জ :: সিলেটে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহনন করেছে সিলেট টেকনিকেল ট্রেনিং ইনস্টিউশনের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী আলহাজুর রহমান (১৯)। বুধবার রাত নয়টার দিকে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার আলমপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলহাজ জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের দরগাবাহারপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলমপুর এলাকার ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত আলহাজ রাত নয়টার দিকে তিনি নিজ কক্ষে দরজা আটকে গান বাজাচ্ছিলেন। পরে পরিবারের সদস্যরা ডেকে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সিলেট মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাহাবুল ইসলাম বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে আলহাজ উদ্দিন নামের ওই তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জকিগঞ্জের দরগাবাহারপুর গ্রামের বাড়ীতে কলেজ ছাত্র আলহাজের লাশ দাফন করা হয়েছে। তার আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারে বইছে শোকের মাতম। এলাকায় চলছে না আলোচনা সমালোচনা।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট শহরের মোগলাবাজার থানা এলাকায়। জকিগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের বাড়ীতে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছে। পরিবার সদস্যরা জানান, আলহাজের আত্মহত্যার সঠিক কোন কারণ জানাতে না পারলেও মৃত্যুর পূর্বে সে ফেসবুক লাইভে এসে একটি মেয়ের প্রতি অভিমানের কথা প্রকাশ করেছে। আত্মহননের আগে সে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছে, “ কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। তারা অনেক স্বার্থপুর হয় প্রিয় মানুষটার বিষয়ে। সবকিছু দিয়ে তাদের পেতে চায়। আর আমি কোনভাবে পাইনি। চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে। ভালোবেসোনা ঠকে যাবে।” এ স্ট্যাটাস দেয়ার প্রায় এক ঘন্টা পরে লাইভে এসে আত্মহত্যা করে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আত্মহননের লাইভটি সরিয়ে ফেলেছে এবং বর্তমানে তার আইডিটি বন্ধ রয়েছে। নিহতের চাচা আফজল হোসেন জানান, সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে আত্মহত্যা করায় পরিবারের লোকজন কিছু বুঝতে পারেনি। পরে দরজা ভেঙ্গে লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি তার ভাতিজার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশের কাছে দাবী জানিয়েছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৫৫ বার