সিলেটে সুশিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’
সজল ঘোষ ::
শিক্ষাহীন মানুষ অন্ধকারে থাকার সমতুল্য। শিক্ষা ছাড়া দেশ ও জাতি এগুতে পারেনা আলোকিত পথে। একজন সুশিক্ষিত মানুষ যদি গঠন করা যায় তাহলে সেই পরিবার, দেশ ও জাতি এগিয়ে যায় তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে। এভাবে যদি প্রতি-প্রত্যেক পরিবারে সুশিক্ষিত মানুষ গঠিত হয় তবে সে পরিবার, দেশ ও জাতি অন্ধকার অমাবশ্যায় থাকতে পারে না। আর তখনই আলোকোজ্জ্বল সুন্দর ও শান্তিময় বসবাসযোগ্য পরিবার, দেশ ও জাতি গঠন সম্ভবপর হয়। মানুষ সর্বদা থাকে সুখে অনাবিল ভালোবাসায়। এজন্য আনন্দময় ও বর্ণিল জীবনযাপন করতে হলে এবং দেশ ও জাতি গঠন করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন সুশিক্ষা। কেবলমাত্র সুশিক্ষাই পারে সকল মানুষের জীবনকে আনন্দময় ভালোবাসায় রাঙিয়ে দিতে। এই শাশ্বত সুন্দর সুশিক্ষার প্রচার ও প্রসার ঘটাতে পবিত্র নগরী সিলেটে স্থাপিত হয়েছে ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’। এই কলেজের একটি ব্যতিক্রম বিষয় হচ্ছে- শিক্ষার্থীদেরকে এইচ এস সিতে ভালো ফলাফল ও উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির স্বপ্ন দেখায় ।
২০০৯ সালের ১৮ জুন সিলেট নগরীর ১১২-আজাদী, মীরবক্সটুলা, পূর্ব চৌহাট্টায় এই ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’টি প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্ন থেকেই ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ সুশিক্ষার আলো ছড়াতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। কলেজপড়–য়া ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ কখনো পিছপা হয়নি। সত্য-সুন্দর থেকে পিছু হটেনি। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে মেধাবী সমাজ গঠনে। দিনে দিনে বাড়ছে সাফল্য ও কাঙ্খিত অর্জন। ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ সিলেট এর প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ ছিলেন বরেণ্য প্রফেসর ঋষিকেশ ঘোষ। এই গুণী শিক্ষাবিদের হাত ধরেই মাত্র ১১৪ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ আজ এগিয়ে এসেছে সোনালি পানে। এরপর কলেজটি অধ্যক্ষের হাল ধরেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী মুহাম্মদ কুদরতে এলাহী। এই বরেণ্য শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ অনেক মেধাবী ও ত্যাগী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে দিনরাত ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কলেজটিকে বর্তমানে এক মনোরম ও আনন্দদায়ক পরিবেশে শিক্ষার পাঠদানের সুব্যবস্থা বিরাজ করছে। প্রতি বছরই আসছে সন্তোষজনক ফলাফল। ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ থেকে সুশিক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
একজন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হয়েছে বলে সবাই তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানায়। এটি একটি সামাজিক রীতিনীতি। কিন্তু এই সাফল্যই চূড়ান্ত আনন্দে ভাসবার নয়। এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করতে হবে এবং জীবনকে সুন্দর আনন্দময় ও সম্ভাবনাময় করার লক্ষ্যে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীকে মেডিক্যাল/বিশ্ববিদ্যালয়/ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে। এই রাস্তা মসৃন নয়, কণ্টকময়। এইচএসসিতে ভালো ফলাফল এবং মেডিক্যাল/বিশ্ববিদ্যালয়/ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে ভর্তির নিশ্চয়তা দিতে সকলের প্রিয় ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’-এ ভর্তি হওয়া দরকার। চাকচিক্যে বা অতীত ঐতিহ্যের উপর ভরসা করে নয়, আবেগেও নয়, বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীর জীবনকে সুন্দর, আনন্দময় ও সম্ভাবনাময় করার লক্ষ্যে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে হবে। সেক্ষেত্রে ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ শিক্ষার্থীর জীবনকে সুন্দর আনন্দময় ও সম্ভাবনাময় করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রæতিদ্ধ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল ও উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ এর স্বনামধন্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ কুদরতে এলাহী বলেন- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের তুলনায় সুবিধাজনক হলেও ভাড়া বিল্ডিংয়ে অপর্যাপ্ত ডেকোরেশনে কলেজের বর্তমান অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চলছে। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমি যেসকল মেধাবী শিক্ষার্থী পেয়েছি যারা আমাকে বিশ্বাস করে ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’-এ ভর্তি হয়ে আমার পরিকল্পিত পাঠদান ও পাঠ্যগ্রহণ পদ্ধতি অনুসরণ করেছে তাদেরকে প্রাইভেট পড়তে হয়নি। আমার কলেজের এই শিক্ষার্থীরাই বর্তমানে মেডিক্যাল/বিশ্ববিদ্যালয়/ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে প্রমাণ করেছে যে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ই যদি প্রেরণাময় ও আন্তরিক হয় তবে ভাড়া বিল্ডিং আর অপর্যাপ্ত ডেকোরেশন টেকসই শিক্ষা প্রদানে আর গ্রহণে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে না।
তিনি বলেন- বর্তমান পাঠদান ও গ্রহণ পদ্ধতি একটি ব্যতিক্রমধর্মী নির্ভরযোগ্য টেকসই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে আমাকে আরো আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন- আমাকে বিশ্বাস করুন। দুই বছর নামমাত্র বেতনে আপনি এবং আপনার সন্তান আমার পাশে দাঁড়ান, আমার পরিকল্পিত নির্ভরযোগ্য পাঠদান ও পাঠ গ্রহণ পদ্ধতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল এবং উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই ব্যপারে নিশ্চয়তা দিয়েই আমি শিক্ষার্থীর সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করবো।
‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’ অধ্যক্ষ বলেন- প্রত্যেক শাখায় ন্যূনতম বেতনে ৫০-১০০% বৃত্তিতে ৫০ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরকে ভর্তি করা হবে । ইউনিভাস্যাল কলেজ অধ্যক্ষ আরো বলেন- এবছর প্রত্যেক শাখায় ন্যুনতম বেতনে ৫০-১০০% বৃত্তিতে ৫০ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভর্তি করা হবে । প্রত্যেকটি সেশনে ২৫-৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকবে । শিক্ষার্থীদেরকে এইচ এস সিতে ভালো ফলাফল ও মেডিকেল/বিশ্ববিদ্যালয়/ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটিতে উপযোগি করে তোলা হবে । এই পরিকল্পনাকে সফল করার জন্য শিক্ষক টিমের সাথে মেডিকেল/বিশ্ববিদ্যালয়/ইঞ্জিনিয়রিং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষক এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে সার্বক্ষণিক কাজ করবে । সুশৃঙ্খল জ্ঞান অর্জন ছাড়া কোনও মানুষ জীবনে সফল হতে পারে না। আর এই সুশৃঙ্খল জ্ঞান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যতিত কোনভাবেই অর্জন করা সম্ভব নয়। তাই একজন শিক্ষার্থীর জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এদিক বিবেচনায় আপনার উচ্চতর শিক্ষাজীবন গঠন করতে সিলেট নগরীর ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’-এ ভর্তি হওয়ার বিষয়টি অভিভাবক, ও ছাত্রছাত্রীদেরকে বিবেচনায় আনা যেতে পারে । ‘ইউনিভার্স্যাল কলেজ’-এর ওয়েবসাইট হলো: www.ucs.edu.bd ও ই-মেইল: