সুজিৎ কে জেলা প্রশাসক’র সহযোগিতার আশ্বাস
সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সুজিৎ শর্মাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। জিৎ’ কে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে এলে রোববার দুপুরে এ আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী সুজিৎ শর্মা ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। যেকোনো প্রয়োজনে উনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন এবং সব রকমের সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক জিৎকে আরও বলেন, আপনাকে নিয়ে লেখাটি পড়ে অনুপ্রেরণা পেলাম। আপনার মনের ইচ্ছা সৃষ্টিকর্তা পূরণ করুন। আপনার কর্মচেষ্টা আমাদের শিক্ষা দেয়। আপনার প্রতি আন্তরিক সহযোগিতা থাকবে। যখন প্রয়োজন মনে করবেন যোগাযোগ করবেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ তার মোবাইল নম্বরটি জিৎকে দেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমি আজকে ফেসবুকে এ সংবাদটি দেখি এবং পড়ি। পড়ার পর আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং তাকে যেকোনো প্রয়োজনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বলি। সে কোনো প্রয়োজনে আমার কাছে আসলে আমি অবশ্যই সহযোগিতা করবো।
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের আদুখালি গ্রামের প্রান্তিক কৃষকের সন্তান সুজিৎ শর্মা। ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা কোনো এক বড় ব্যাংকে চাকরি করবে। কিন্তু তার স্বপ্নে বাধা হয়ে যায় জন্মের পর প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মানো। তার বাবা মনোরঞ্জ শর্মা অন্যের জমি বর্গা করে বোরো ধান আবাদ করেছেন। যেহেতু তাদের নিজস্ব জমি না তাই মালিককে ধানের ৫০ শতাংশ দিতে হবে। তা দেয়া হয়ে গেলেও বর্তমানে সরকার নির্ধারিত ১০৪০ টাকায় ধান বিক্রি করতে পারছেন না তিনি। একজন প্রান্তিক কৃষকের ধান শেষ সম্বল হওয়ায় এবং বর্তমান বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় অভাবে পড়ে গিয়েছেন তার বাবা। বর্তমানে অনেক অভাব অনটনে দিন কাটছে তাদের।