সুনামগঞ্জে তোপের মুখে সিভিল সার্জন
মোজাহিদুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে বলেন, ইমাজেন্সি আর বর্হিবিভাগে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরিবর্তে ইর্ন্টান চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন। রক্ত আর প্রশ্রাব পরীক্ষা ছাড়া কোনো ধরণে পরীক্ষা হাসপাতালে হয় না। বাকি সব পরীক্ষার জন্য রোগীদের বাইরে যেতে হয়। হাসপাতালের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের ব্যবসার সাথে জড়িত। সাংবাদিক জাকির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, খাতাকলমে ১৪জন ডাক্তার থাকার কথা বললেও দুয়েকজন ডাক্তার ছাড়া বাকিদের দেখা মিলেনা। অনেকেই বেলা ১২টার পরে হাসপাতালে আসেন। সরকার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল আর কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনে দিলেও অদৃশ্য কারণে হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধন হচ্ছে না। জেলা রেডক্রিসেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মতিউর রহমান পীর বলেন, আউটসোর্সিংয়ের টেন্ডার থেকে শুরু করে লোক নিয়োগে প্রকাশ্যে অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। সাধারণ পরিবারের ছেলেমেয়েরা টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালের অনেক সেবাখাতে টেন্ডার বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে জানানো হচ্ছে না জনগনকে। এসময় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন সনাকের সদস্য যোগেশ্বর দাস, জাপা নেতা সাইফুর রহমান শামছু, আশরাফুল ইসলাম, সাংবাদিক শহীদনুর আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ সুজন, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমদ প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ উপস্থিত সুধীজন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, হাসপাতালসহ সার্বিক স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সাধারণ মানুষ হাসপাতালে এসে যদি সেবাবঞ্চিত হয় বা কোনো অনিয়ম দুর্নীতির কারনে স্বাস্থ্যবিভাগ পিছিয়ে থাকে তা সহজভাবে মেনে নেয়া যায় না। সকল প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি রোধ করে সেবার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও সদর হাসপাতালের পোর্টালে যাবতীয় সেবা আডলোড করা, সেবার মানউন্নয়নে সেবা কেন্দ্র চালু করা, নিয়মিত টেন্ডার প্রক্রিয়া করে সকল সেবাখাতের মান বৃৃদ্ধিসহ হাসপাতলের নতুন ভবন চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাসকে আহবান জানান তিনি। এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।