সুনামগঞ্জে সুরমার পানি বিপদ সীমার ৬৮ সে.মি. উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
শুক্রবার সরে জমিনে সুনামগঞ্জ পৌর শহর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্যায় প্লাবিত হয়েগেছে সদর উপজেলার কুরবান নগর ইউনিয়নের দারারগাঁও, হালুয়ারঘাট, সুরমা ও জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিম্নাঞ্চল । সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নবীনগর, বড়পাড়া, উকিলপাড়া, সাববাড়ীঘাট জেল রোডের এলাকার বিভিন্ন ঘরবাড়ি, দোকানপাঠ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও ড্রেনের সমস্যা পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার কবলে পানি বন্ধি রয়েছেন শহরের আরফিনগর, সোমপাড়া, রায়পাড়া, মুক্তারপাড়া, নতুন পাড়া, বখত পয়েন্ট, ষোলঘর পয়েন্ট , বড়পাড়া, কাজির পয়েন্ট, পশ্চিম বাজার, লারী হাটি, মরল আটি, জেলরোডসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। অনেক বাসাবাড়ী, দোকাপাঠে পানি উঠতে দেখা গেছে। বন্ধ রান্নাঘরের চুলা ও বিদ্যুৎ সংযোগ। এভাবে আরো একদুদিন চলতে থাকলে মানুষের দুর্ভোগ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে জানান ভোক্তভোগীরা। আরফিন নগর এলাকার বাসিন্দা সুজন মাহমুদ বলেন, সকাল থেকে পানি বন্ধি অবস্থায় আছি। বাসার প্রতিটি রুমে পানি ঢুকেছে। সকাল রান্না হয়নি। বাহির থেকে নাস্তা কিনে এনেছি। সাহাববাড়ী ঘাট এলাকার সাহেদ নামে আরেক জন বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অনেকের বাসাবাড়ীতে পানি ঢুকেছে। সাহাববাড়ী ঘাট রাস্তায় হাটু-উরু পানি । এভাবে আরো একদিন চলতে থাকলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, সুরমা নদীর পানি ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের পরিমান আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ত্রান ও দুর্যোগ পুনবার্সন কর্মকর্তা ফরিদুল হক বলেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের খবর এখনো পাইনি। তবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরীর জন্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নির্দেশানা দেয়া হয়েছে।