দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ৩১ প্রার্থী। এরমধ্যে জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে ২১ জনের। সবচেয়ে বেশী জামানত বাজেয়াপ্ত হবে সুনামগঞ্জ—৫ আসনে, ৭ জন। এছাড়াও সুনামগঞ্জ—১ আসনে ৫ জনের, সুনামগঞ্জ—৪ আসনে ৪ জনের, সুনামগঞ্জ—৩ আসনে ৩ জন এবং সুনামগঞ্জ—২ আসনে ২ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। জেলার ৫টি আসনের মধ্যে সবোর্চ্চ ৪৫.১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে সুনামগঞ্জ—২ আসনে, সর্বনিম্ন ৩৬.৩৫ শতাংশ সুনামগঞ্জ—৪ আসনে।
সুনামগঞ্জ—১ (ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর) আসনে এবার ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৮৮১ জন। ভোট পড়েছে ৪২.৫৫ শতাংশ। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। জামানত রক্ষায় প্রার্থীদের ২৪ হাজার ৬১০ ভোট পেতে হতো। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ—১ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫ জনের। এরা হলেন— বাংলাদেশ কংগ্রেসের নবাব সালেহ আহমদ (ডাব) ১৪৬ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মো. আশরাফ আলী (সোনালী আঁশ) ৩৭৯ ভোট, গণফ্রন্ট’র মো. জাহানুর রশিদ (মাছ) ৮১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. হারিছ মিয়া (একতারা) ৭৩২ ভোট। গত ২ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অসহযোগিতার অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল মন্নান তালুকদার (লাঙ্গল) ৩১২ ভোট।
সুনামগঞ্জ—২ (দিরাই—শাল্লা) আসনে ভোটার রয়েছেন ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৮৯৩ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬৪ জন। ভোট পড়েছে ৪৫.১৬ শতাংশ। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীদের ১৬ হাজার ৮৩ ভোট পেতে হতো। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ—২ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২ জনের। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সচিব মো. মিজানুর রহমান (ঈগল) ১৯৬৮ ভোট এবং গণতন্ত্রী পার্টির মিহির রঞ্জন দাশ ২৪৯ ভোট।
সুনামগঞ্জ—৩ (শান্তিগঞ্জ—জগন্নাথপুর) আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৪৯ জন। ভোট পড়েছে ৩৮.৭৮ শতাংশ। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীদের ১৬ হাজার ৭০৬ ভোট পেতে হতো। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ—৩ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩ জনের। তৃণমূল বিএনপি’র মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সোনালী আঁশ) ৪ হাজার ৯৫ ভোট, জাতীয় পার্টির তৌফিক আলী (লাঙ্গল) ২ হাজার ৪৫ ভোট ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির তালুকদার মো. মকবুল হোসেন (কাঁঠাল) ৫১৪ ভোট।
সুনামগঞ্জ—৪ (সুনামগঞ্জ সদর—বিশ্বম্ভরপুর) আসনে ভোটার রয়েছেন ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৮২৯ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ২৬০ জন। ভোট পড়েছে ৩৬.৩৫ শতাংশ। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীদের ১৫ হাজার ৫৩২ ভোট পেতে হতো। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ—৪ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৪ জনের। স্বতন্ত্র মো. মোবারক হোসেন (কাঁচি) ১ হাজার ৪৭৭ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোহাম্মদ দিলোয়ার (আম) ৪০০ ভোট। সুষ্ঠু ভোটের মাঠ নেই অভিযোগ এনে সরে দাঁড়ানো বিএনএম মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান শামছুল আবেদীন (নোঙ্গর) ১৮৭ ভোট। এছাড়াও প্রতীক বরাদ্দের পরের দিন নৌকাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন (ঈগল) ১২৬ ভোট।
সুনামগঞ্জ—৫ (ছাতক—দোয়ারাবাজার) আসনে ভোটার রয়েছেন ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৯৯ জন। ভোট দিয়েছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৭৭৭ জন। ভোট পড়েছে ৪৩.৮০ শতাংশ। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীদের ২৬ হাজার ৭২২ ভোট পেতে হতো। সে হিসেবে সুনামগঞ্জ—৫ আসনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৭ জনের। গণফোরামের আইয়ুব করম আলী (উদীয়মান সূর্য) ৫৬৯ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপির) আজিজুল হক (আম) ৩৬১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’র আবু সালেহ (একতারা) ৩০৭ ভোট, জাতীয় পার্টির (জেপি’র) অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন (বাইসাইকেল) ২০৪ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মো. আশরাফ হোসেন (টেলিভিশন) ৫৯ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. নাজমুল হুদা (লাঙ্গল) ৮২২ ভোট এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাজী আব্দুল জলিল (গামছা) ১৬৪ ভোট।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ—১ আসনে রনজিত চন্দ্র সরকার, সুনামগঞ্জ—২ আসনে ড. জয়া সেনগুপ্তা, সুনামগঞ্জ—৩ আসনে এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ—৪ আসনে মোহাম্মদ সাদিক এবং সুনামগঞ্জ—৫ আসনে মুহিবুর রহমান মানিক বিজয়ী হয়েছেন।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
১৭৬ বার