সুনামগঞ্জ সীমান্ত হাট: কেনা-বেচায় খুশি দু’দেশের মানুষ
বাংলাদেশের ক্রেতা দ্বীন ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি ছোটো-খাটো ব্যবসা করি। এখান থেকে কিছু পণ্য কিনেছি আমাদের ডলুরা স্থানীয় বাজারে বিক্রির জন্য। এখানে হাট হওয়ার ফলে আমাদেরও একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। করিম মিয়া আরেক ক্রেতা বলেন, সামনে ঈদ তাই আমি কিছু মসলা কিনতে এসেছি। জিরা, গরম মসলা এখানে কম দামে পাওয়া যায়। এই হাট হওয়ার ফলে আমারদের গ্রামে চোরের সংখ্য কমে গেছে। যদি এখানে শুল্ক স্টেশেন হয় তালে আরও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। আর এলাকার বেকারত্ব কমে যাবে। বাজার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোকশেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, এখানে হাট হওয়ার ফলে এলাকার লোকজনের অনেক উপকার হয়েছে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। ভারতের তুলনায় আমার এলাকায় লোক সমাগম বেশি। তাই ক্রেতা কার্ড আরও বাড়ানো প্রয়োজন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোকসুদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখানে চোরাকারবারী বন্ধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করি। এছাড়া আমাদের আর তেমন কোনও দায়িত্ব নেই। সব কিছু স্থানীয় প্রশাসন দেখে। বর্ডার হাট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা নতুন করে মেয়াদ ঠিক করে দেবো। এ ছাড়া যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো খোঁজ খবর নিয়ে সমাধান করা হবে।