সুরঞ্জিতের অভাব বোধ করছে সরকার
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী উচ্চ আদালত বাতিল করার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদের বাইরে থাকা প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নেতারা বাকযুদ্ধে মেতেছেন। রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পর্যবেক্ষণের কিছু বিষয় এক্সপাঞ্চ করার আহবান করেছেন। সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন।
আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবিরা সংবাদ সম্মেলন করে আদালতের রায় প্রত্যাক্ষানের ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কুটুত্তিও করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল দলের নেতিবাচক অবস্থানের বিষয়টি অবহিত করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও রায় নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পর বিএনপি নেতারা বলছেন, এই রায়ের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। রায়ে তারা আনন্দিত এমন মনোভাব প্রকাশ করছেন বিএনপি নেতারা। আইনমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা ষোড়শ সংশোধীন বাতিলের রায় নিয়ে অনেক কথা বললেও দলীর সাধারণ নেতাকর্মীদের মূখে উচ্চারিত হচ্ছে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনের নাম।
অনেকেই জোরালোভাবে বলছেন, এখন দরকার ছিল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তার প্রতি দলের অবহেলা নিয়ে কড়া সমালোচনা উঠেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আইনজীবি রয়েছেন প্রায় দুই ডজন। এর মধ্যে অনেকেই রায় নিয়ে মতামত তুলে ধরছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে থাকা খ্যাতিমান আইনজীবিদের কেউ কেউ আদালতের রায় নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করছেন। তবু সাধারণ জনতার মূখে কেবলই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কথা উচ্চারিত হচ্ছে।