সুলতান মনসুর ‘বেঈমান’, শাহীন ‘বহিরাগত’: মিসবাহ সিরাজ
আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ‘বেঈমান ও মুনাফেক’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। আর গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী বিকল্পধারার প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করা এমএম শাহীনকে ‘বহিরাগত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। এদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান মিসবাহ সিরাজ। রোববার দুপুরে সুলতান-শাহীনের নির্বাচনী এলাকা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গিয়ে এমন আহ্বান জানান মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। সম্মেলনে এম এম শাহীন অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তবে গত নির্বাচনে বিএনপির জোটসঙ্গী গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়া সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। এ ব্যাপারে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ রোববার রাতে রাতে সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বহিরাগতদের এনে দলকে বিনাশ করে ফেলা হচ্ছে। বাইরে থেকে বড় বড় টাকাওয়ালা লোকজন যদি দলে ঢুকে পড়ে তাহলে তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতারা তো টিকতে পারবে না। এছাড়া যারা দুঃসময়ে দলের সাথে নেত্রীর সাথে বেঈমানি করেছে তারাও যাতে আবার দলে ঢুকতে না পারে এব্যাপারেও নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছি।
রোববার দুপুরে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এেতে বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মৌলভীবাজার-২ আসনের সাংসদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদকে ইঙ্গিত করে বলেন, যাকে আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গড়ে তুলেছেন তিনি বেঈমান মুনাফিকদের খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে (সুলতান মনসুরকে) ছাত্রলীগের সভাপতি, ডাকসুর ভিপি, এমপি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছেন। অথচ তিনি সংগঠনের নেতাদের বুকে ছুরি মেরে অন্য দলে গিয়েছেন। বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগে এমন বেঈমানের কখনো ঠাঁই হবে না। এদিকে সন্ধ্যায় পৌর শহরের স্কুল চৌমুহনীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে সম্মেলনের আলোচনা সভায় মঞ্চে অনেক বহিরাগত উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এখন কাউন্সিল অধিবেশনে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রয়েছেন। তিনি সাবেক সাংসদ এম এম শাহীনকে ইঙ্গিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েক বছর আগে যখন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন তখন সেখানকার একটি পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করেছিলো। কিন্তু আজ সেই লোক সম্মেলনে বক্তব্য দিলেন। অথচ আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের অনেক পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দ এই সভায় বক্তব্য দিতে পরলেন না। তাই সকল নেতাকর্মীদের এসব ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। এই সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রী আওয়ামী লীগের (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। এছাড়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।