সুলতান-মোকাব্বির প্রশ্নে ড. কামালের ‘মুখে কুলুপ’
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়া নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দুই নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ও মোকাব্বির খানের সঙ্গে মতবিরোধ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে রাজি হননি জোটের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত দলের ৫ম কাউন্সিলের প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় গণফোরামের দু’জন নির্বাচিত প্রার্থীর শপথ গ্রহণে আগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, ‘এসব বিষয়ে এখন আমরা কিছু বলতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১০০ ভাগ ঐক্যবদ্ধ আছে। ঐক্য আছে ষোল কোটি মানুষকে নিয়ে।’ গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘যারা স্বৈরাচার, যারা জনগণের ক্ষমতাকে সহ্য করতে চায় না, আমাদের মধ্যে তারা বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়।’ এসময় সংসদ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. কামাল বলেন, ‘আজকে আমরা এ বিষয়ে কোনও কথা বলবো না। বিক্ষিপ্তভাবে কিছু বলতে চাই না। পরে এজেন্ডা ঠিক করে বলবো। হালকা করে কিছু বলতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘সংসদে কী হচ্ছে, না হচ্ছে, খোঁজ-খবর রাখছি। অনেক বিতর্কিত বিষয় আছে। তা পযর্বেক্ষণ করে আমরা লিখিতভাবে বলবো।’
প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘এদেশের ক্ষমতার মালিক এদেশের জনগণ। জনগণকে সেই মালিকের ভূমিকায় রাখতে হলে একটি সংগঠন প্রয়োজন। সে সংগঠনের জন্য আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে এসেছি। সে কাজে আমরা সফলতাও পেয়েছি।’ ঐক্যফন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনের আগে আমরা দেশব্যাপী আন্দোলন করি। আবারও জনগণকে সংগঠিত করে আমাদের লক্ষ্যগুলোকে কেন্দ্র করে জনগণের আন্দোলন গড়র তুলবো। মূল শক্তি হচ্ছে আমাদের জনগণের ঐক্য। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ পদ থেকে আপনাকে সরে যেতে হবে বলেছেন বিএনপির এক নেতা- এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? এ প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উত্তর দেব না, অন্য অনুষ্ঠানে দেব।’ বিকাল সাড়ে ৪টায় মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন রেজা কিবরিয়া, আবু সাঈদ, সুব্রত চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত সদস্য মোকাব্বির খান। তবে আমন্ত্রণ পেলেও সভায় আসেননি মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ ও ২৪ মার্চ জাতীয় কাউন্সিলের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে গণফোরাম। আইডিবি ভবনের মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।