সেঞ্চুরির পর হ্যাটট্রিক! কুমিল্লার বিশাল জয়
এমনিতেই হারতে হারতে করুণ অবস্থা হয়ে গেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্সের। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সর কাছে ৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় আরও নিশ্চিত করে ফেলল তারা। এভিন লুইসের সেঞ্চুরি আর শহিদ আফ্রিদির বোলিং তোপের পর টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক উপহার দিলেন আরেক পাকিস্তানি ওয়াহাব রিয়াজ। ঢাকা ডায়নামাইটসের অ্যালিস আল হাসান চলতি আসরে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিশাল রান তাড়ায় নেমে সতর্ক শুরু করে টুর্নামেন্ট থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে যাওয়া খুলনা টাইটান্স। ৫৫ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে ২৪ বলে ২৭ করা জুনায়েদ সিদ্দিকীর বিদায়ে। ১০ বলে ১৩ করে ডেভিড মালান শহিদ আফ্রিদির শিকার হন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ যথারীতি ব্যর্থ। আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন ১১ রান। একপ্রান্ত আগলে রাখছিলেন অপর ওপেনার ব্রেন্ডন টেইলর। ৩৩ বলে ৫০ করে আফ্রিদের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান এই জিম্বাবুয়ে তারকা। এরপর শুরু হয় আসা-যাওয়ার পালা। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ১৩ বলে ২২ রান করে থিসারা পেরেরা বলে সাইফ উদ্দিনের হাতে ধরা পড়েন। ১৪ রান করে সাইফউদ্দিনের শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত। যথারীতি ব্যর্থ আরিফুল হক। ২ রান করে হয়েছেন রান-আউট। ওয়াহাব রিয়াজের শিকার ডেভিড ওয়াইজ (৮)। পরের বলে তাইজুল ইসলামকেও বোল্ড করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাদ্দাম হোসেনকে তামিমের তালুবন্দি করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এই পাকিস্তানি তারকা। ১৮.৫ ওভারে ১৫৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় খুলনা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ম্যাচ জিতে নেয় ৮০ রানের বড় ব্যবধানে।
এর আগে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের আজ সোমবারের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩৭ রান তুলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দেন তামিম ইকবাল এবং এভিন লুইস। ২৯ বলে ২৫ রান করে দেশসেরা ওপেনার তামিম মাহমুদউল্লার বলে ওয়াইজের তালুবন্দি হলে ভাঙে এই জুটি। ঠিক পরের বলেই ‘ডাক’ মেরে ফিরেন এনামুল হক বিজয়। ৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এভিন লুইস। তার সঙ্গী হয়ে দলকে এগিয়ে নেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ২১ বলে ৩৯ রানের মারকুটে ইনিংস খেলা ইমরুলকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন শরিফুল। লঙ্কান হার্ডহিটার থিসারা পেরেরা (১১) হাত খোলার আগেই ব্র্যাথওয়েটের বলে ওয়াইজের হাতে ধরা পড়েন। আরেক হার্ডহিটার শহিদ আফ্রিদি ফিরেন ১ রানে। কিন্তু একপ্রান্তে অবিচল ওপেনার লুইস এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিন অংকের দিকে। ২০তম ওভারে সাদ্দাম হোসেনকে ছক্কা মেরে ৪৭ বলে তিন অংক স্পর্শ করেন এই ক্যারিবীয়ান। চলতি বিপিএলে এটা চতুর্থ সেঞ্চুরি। তার ৩৯ বলে অপরাজিত ১০৯ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি চার এবং ১০টি ছক্কা! শামসুর অপরাজিত থাকেন ১৫ বলে ২৮* রানে। নির্ধারিত ২০ ওভারে কুমিল্লার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৩৭ রান। সুযোগ থাকলেও এদিন রংপুর রাইডার্সের গড়া দলীয় সর্বোচ্চ ২৩৯ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি লুইস-শামসুররা। এটাই এখন বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স এবং রানার্সআপ ঢাকা ডায়নামাইটস। হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।