সেরাকন্ঠে সেরা ঐশীর ভবিষ্যত ইচ্ছা
৩৫ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে ২১ জানুয়ারি, রবিবার থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ‘ফিজ আপ-চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১৭’ এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে ঢাকার সুমনার সাথে যুগ্মভাবে জয়ী হয়েছেন রাকিবা ইসলাম ঐশী। তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাটের কুনাট ছড়া সরকারি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ও নারী নেত্রী আতিফা ইসলাম সাথীর মেয়ে ঐশী। ঐশী বর্তমানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগে সম্মান দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। ঐশীর স্বামী দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাথে যুক্ত। গান নিয়ে পরিকল্পনা এবং ‘ফিজ আপ-চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১৭’ এর অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘ফিজ আপ-চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ২০১৭’-এর মুকুটের যৌথ ভাগীদারের একজন রাকিবা ইসলাম ঐশী বলেন, গানটা বলতে গেলে পারিবারিকভাবেই এসেছে। মা-বাবা দুজনের একজনও গান না পারলেও খুব ভালোবাসেন গান শুনতে। তবে খালারা গান পারেন। বিশেষ করে ছোটবেলায় ছোট খালার গান শুনে অনুকরণ করার চেষ্টা করতেন তিনি। তখন থেকেই গান শেখা শুরু হয়। পরে এলাকার ওস্তাদ গৌরাঙ্গ চন্দ্র মল্লিকের কাছে গান শেখা শুরু করেন তিনি।
সেরাকণ্ঠে আসার আগে ক্ষুদে গানরাজে অংশ নিয়েছিলেন ঐশী। কিন্তু ক্যাম্প পর্বে আসার আগেই বাদ পড়ে যান। ছোট ছিলেন বলে ওই মানসিক ধাক্কাটা নিতে কষ্ট হয়েছিল তার। এবার হঠাৎ করেই ইচ্ছে হলো সেরাকণ্ঠে অংশ নেয়ার। ‘হলে হলো, না হলে নাই’- এই মনোভাবে আসা। এতদূর যে আসবেন এটা ভাবতেও পারেননি। অডিশন থেকে ক্যাম্প রাউন্ডে আসাই ছিল অনেক বড় পাওয়া, এমনটাই জানান ঐশী। ঐশী বলেন,‘আমার জন্মদিন ২২ জানুয়ারি। আর জন্মদিনের ঠিক আগের দিনই সেরা কণ্ঠের চ্যাম্পিয়ন হলাম। জন্মদিনে নিজেকে এত বড় উপহার দিতে পারবো, এটা কখনো কল্পনাও করিনি।’ ক্যাম্প রাউন্ডের একটা ঘটনা মনে করেন ঐশী। ক্যাম্প রাউন্ডে ঐশীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ‘চ্যাম্পিয়ন কে হবে?’ তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় সুমনা হবে’। মজার ব্যাপার হলো সুমনাকে এই প্রশ্ন করার পরে তিনিও বলেছিলেন ঐশীর নাম। অবশেষে দুজনেই যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে, এমনটাই মনে করছেন ঐশী। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, তাই এখন চেষ্টা করতে হবে এই স্থানের সম্মানটা ধরে রাখার। তিনি চান, তার নিজস্ব কিছু গান থাকুক, যেগুলো দিয়ে সবাই তাকে চিনবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে গান নিয়ে শিক্ষকতা করার ইচ্ছা আছে তার।