সৌদি সম্মেলনে ট্রাম্পের অংশগ্রহণ নিয়ে সমালোচনায় ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কয়েক দিনে নিশ্চিয়ই লক্ষ্য করেছেন- সৌদি আরবে একটা বড় সম্মেলন হচ্ছে। মজার ব্যাপার এই সম্মেলনের উপস্থিত হয়েছেন মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো। যাতে প্রধান হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার সর্ম্পকে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু পৃথিবীর সব মানুষই জানেন তিনি কী করছেন কী কথা বলছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের সেইখানে ট্রাম্প প্রায় সভাপতিত্ব করছেন বলা যায়। সেখানে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে তারা পরিকল্পনা করছেন কীভাবে ইসলামিক উগ্রবাদকে প্রতিরোধ করবে। ইতোমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে আমেরিকার চুক্তি হয়ে গেছে। যেখানে আমেরিকা থেকে সৌদি আরব প্রায় সাড়ে ৭ শত মিলিয়নের অস্ত্র কিনবে। আজ পর্যন্ত যতগুলো বড় ঢিল হয়েছে এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়।’
সোমবার (২২ মে) রাজধানীর পূবার্ণী হোটেল এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এ শুভেচ্ছা বিনিময়ের আয়োজন করেছে ঢাকা ঢাকা মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ)। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে খারাপ সময় চলছে। কারণ এখানে গণতন্ত্রের একটা মুখোশ পড়ে আছে। যারা দেশ শাসন করছে একটা মুখোশ পড়ে তারা প্রকৃতপক্ষে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। শুধু একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বললে ভুল হবে একব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা। এখানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। জবাবদিহিতা নেই। একটা সংসদ আছে যেখানে জনগণের সমস্যা সমাধানের কোনো আলোচনা করা হয় না। অধিকার হরণ করবার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গোটা দেশের মানুষ বলতে গেলে কিছুটা জিম্মি হয়ে গেছে এ থেকে মুক্তি পেতে হবে।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশির নামে যে আক্রমন করা হলো সেটা কার্যালয়ের উপর আক্রমণ নয়, এটা গণন্ত্রের উপর আক্রমন দেশের মানুষের আক্রমণ। আগেই বলেছি এটা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। দেশে রাজনৈতিক নতুন সংস্কৃতির ধারা তৈরি করার প্রস্ততি চলছিল এটাকে ধ্বংস করে দেওয়ার সরকার এই কাজটি করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের তল্লাশি প্রতিবাদে সারাদেশের মানুষ মুখর হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী ২৪ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি চেয়েছি। জানি না সরকার অনুমতি দেবে কি দেবে না। প্রত্যাশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে। ’
এ সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে। আমরা যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াই করছি প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী হয়ে উঠেছি এই বলে যে গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম তা নিশ্চিয়ই অভীষ্ট লক্ষে পৌঁছাবে।’ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারপারসন আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী।
শুভেচ্ছা বিনিময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপি (দক্ষিণ) সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, সিনিয়র সহ-সভাপতি শামসুল হুদা, সহ-সভাপতি ইউনুস আলী মৃধা, আবুল হাসান ননী তালুকদার, মো. মোহন, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, আলী রেজা রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাসেল, তানভীর আহমেদ রবিন, সাইফুল ইসলাম পটুসহ নবগঠিত ঢাকা মহানগর বিএনপি (দক্ষিণ) এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।