প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মীয়মান স্বাধীনতা স্তম্ভের মূল নকশার (তৃতীয় ধাপ) অনুমোদন দিয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে গণভবনে অনুষ্ঠিত এ সম্পর্কিত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নকশা প্রত্যক্ষ করে এর অনুমোদন দেন। এক্ষেত্রে শিশু পার্ককে স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, স্থাপত্য বিভাগের প্রধান স্থাপত্যবিদ কাজী গোলাম নাসির এবং উপ-প্রধান স্থাপত্যবিদ আসিফুর রহমান ভুঁইয়া প্রজেক্ট প্ল্যানের একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বৈঠকে উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রেজেন্টেশন প্রত্যক্ষ করে কিছু দিক নির্দেশনাসহ প্রকল্প অনুমোদন দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব শহীদুল হক খন্দকার এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

স্থপতি কাজী গোলাম নাসির বলেন, ‘আমরা যা করছি; তা প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়ে নিয়ে এসেছি। এখানে শিশু পার্কের ভেতরে দুটি জায়গা চিহ্নিত হবে। একটা যেখান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল; আরেকটা যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী স্যারেন্ডার করেছিল।’ স্থাপত্যবিদ আসিফুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, পাকিস্তানি হানাদারদের আত্মসমর্পণের এবং ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের স্থান দুটিতে স্মারক হবে। তিনি বলেন, ‘শিশু পার্কের এখনকার প্রবেশদ্বার থাকবে না। স্বাধীনতা স্তম্ভ, শিখা চিরন্তন এবং শিশু পার্কের প্রবেশ দ্বার এক পয়েন্টে হবে। ঢুকলেই প্রথমে স্বাধীনতা স্তম্ভ চোখে পড়বে। তারপর যে যেদিকে যেতে চায়; সেদিকে চলে যাবে।’
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn