স্বামীকে নিয়ে খাজা বাবার দরবারে নুসরাত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
হিন্দু রীতিতে নিখিল জৈনকে বিয়ে করে তুমুল সমালোচিত হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। ইস্তাম্বুলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে কলকাতায় এসে একের পর বির্তকিত কর্ম-কাণ্ড করেই যাচ্ছেন তিনি। তাও আবার ধর্মীয় আবেগ নিয়ে। এর পর সিঁদুর লাগিয়ে, মঙ্গলসূত্র পরে ভারতের পার্লামেন্টে গিয়ে সে সমালোচনায় ঘি ঢালেন। তাতেও থামেননি তিনি। দলীয় সভানেত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ইস্কনের রথের রশি টানার হ্দিু ধর্মীয় রীতি পালন করেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত। নুসরাতের এমন সব ঘটনায় ভারতের ‘দারুল উলুম’-এর ইমাম মুফতি আসাদ ওয়াসমি পর দেশটির প্রসিদ্ধ আলেম মুফতি মোহাম্মদ গোলাম রিজভি বলেন, ‘আর কোনোভাবেই মুসলমানের খাতায় নাম রইল না নুসরাত জাহানের। তবে এসব সমালোচনা ও বক্তব্য কানেই তুলছেন না টালিউড অভিনেত্রী নুসরাত। একের পর সমালোচনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন। এবার নতুন এক বিষয় নিয়ে আবার আলোচনায় এলেন নুসরাত। সম্প্রতি স্বামী নিখিল জৈন সঙ্গে নিয়ে খাজা হজরত নিজামুদ্দিনের দরগা শরীফে গেলেন তিনি। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন নুসরাতের স্বামী নিখিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সেই ছবিতে দেখা গেছে, দরগায় স্ত্রী নুসরাতকে নিয়ে দাঁড়িয়ে নিখিল। তার মাথায় সাদা কাপড় বাঁধা ও নুসরাতের মাথায় ওড়না।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, ছবিতে নুসরাতের কপালে এতোদিনের লেগে থাকা সিঁদুরও দেখা যায়নি। ছবিটি পোস্ট করে নিখিল লিখেছেন, ‘ভগবান সর্বত্র। তুমি কোথায় তাকে খুঁজে পাবে তা নির্ভর করছে তোমার ওপর। আমি তোমার মধ্যেই আমার ভগবানকে খুঁজে পেয়েছি।’ এ ছবি প্রকাশের পরই আবার সমালোচনার জালে আঁটকে গেলেন নুসরাত। এর আগে নুসরাতের করা হিন্দু ধর্মীয় রীতির প্রসঙ্গ টেনে তার সমালোচনায় মেতেছে নেটিজেন। তবে প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন অনেক। নুসরাতের এমন সব কর্ম-কাণ্ডের সমালোচনা করে ফতোয়া জারি করেছিলেন দেববন্দের ইমাম। ইসলাম ধর্মে অগ্রহণযোগ্য বলে ফতোয়া জারি করে প্রসিদ্ধ আলেমগণ বলেন, নুসরাত আর মুসলমান রইল না। এর জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ভারতের জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান আপ কি আদালতে নুসরাত বলেন, ‘আমি এক জন মুসলিমই থাকব এবং আমি কী পরব তা নিয়ে কারও কথা বলার অধিকার নেই। বিশ্বাস সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আমার ধর্ম এবং বিশ্বাস (ঈমান) কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ম হলো বিশ্বাসের ব্যাপার আর আমার বিশ্বাস পাক্কা। সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্র পরে আমি আমার বিশ্বাস হারাইনি।’