স্মার্টফোন আপনার বুদ্ধি কমিয়ে দিচ্ছে!
বর্তমান তরুণ প্রজন্মের একটা অভ্যাস নিয়ে সবার মাঝেই অভিযোগ দেখা যায়, আর তা হলো সারাক্ষণ স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার প্রবণতা। ইন্টারনেট অ্যাকসেস থাকার কারণে তারা হাতের মুঠোয় সাড়া বিশ্বের জ্ঞান নিয়ে আসতে পারছে ঠিকই, কিন্তু তারমানে এই না যে তাদের বুদ্ধি বাড়ছে। বরং দেখা যাচ্ছে উল্টো প্রতিক্রিয়া। স্মার্টফোনের ওপর করা একটি নতুন গবেষণায় দেখা যায়, এগুলো আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা এবং বুদ্ধি কমিয়ে দেয়।
এর পেছনে মূলত দায়ী ফোনের প্রতি আমাদের মনোযোগ, বলেন গবেষকেরা। আমাদের মস্তিষ্কের মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতাটি সীমিত। আমাদের মস্তিষ্কের বেশিরভাগ মনোযোগ যদি ফোনের পেছনে থাকে, তাহলে অন্যান্য কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায়, ফলে সেসব কাজে আমাদের দক্ষতা কমে।
গবেষকেরা দেখেন, আপনার দৃষ্টিসীমার মাঝে একটি ফোন থাকা মানেই আপনার মনোযোগ কমে যাবে। আপনি ছোটখাট কাজ করতে ব্যর্থ হবেন এবং আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যাবে। ফোন পকেটে, ব্যাগে এমনকি পাশের ঘরে থাকলে মনোযোগে এত ব্যাঘাত ঘটে না।
এই গবেষণার জন্য ৫২০ জন ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীকে নেওয়া হয়। ফোনের আশেপাশে থাকা অবস্থায় তাদের বুদ্ধি এবং স্মৃতির পরীক্ষা করা হয়। গণিত, স্মৃতি এবং যুক্তির ওপর নির্ভর করে কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন তারা। এ সময়ে তাদের ফোন ডেস্কে, পকেটে, ব্যাগে বা পাশের রুমে রাখা হয়। দেখা যায়, যাদের ডেস্কে ফোন রাখা হয় তারা পরীক্ষায় ১০ শতাংশ কম নাম্বার পায়। স্পিড টেস্টেও তারা খারাপ ফল দেখায়। ফোন বন্ধ করে ডেস্কের ওপর রাখলেও একই ফলাফল পাওয়া যায়। যাদের ফোন পাশের রুমে ছিল তাদের ফলাফল এ তুলনায় ভালো হয়।
এর থেকে বোঝা যায়, একজন মানুষের স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার ওপর নেতিবাচক প্রভাব রাখে স্মার্টফোন। যারা নিজেরাই বলেন তারা ফোনের ওপর নির্ভরশীল, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রভাব বেশি হতে দেখা যায়। তারা নিজেদের মনোযোগ ফোন থেকে দূরে রাখার জন্যও অনেকটা শক্তি খরচ করেন, ফলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে তাদের ফল খারাপ হয়, বলেন এই গবেষণার লেখক ডক্টর অ্যাড্রিয়ান ওয়ার্ড। একে তিনি “ব্রেইন ড্রেইন” বলে অভিহিত করেন।